এমন না যে রান পাচ্ছিলেন না, তবে কেন যেন সেঞ্চুরিটা হচ্ছিল না। প্রায় ২৭ মাস আর ৮৩ ইনিংসে শতকের দেখা পাননি বাবর আজম। অবশেষে শুক্রবার ঘোচেছে সেই অপেক্ষা, বাবর পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা।
রাওয়ালপিন্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুক্রবার সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। তার শতকে ভর করেই লঙ্কানদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। টানা দুই জয়ে জিতে গেল সিরিজ।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। স্বাগতিকদের হয়ে ১১৯ বলে সর্বোচ্চ ১০২* রান করেন বাবর আজম।
বাবর সবশেষ সেঞ্চুরি করেন ২০২৩ সালের আগস্টে, নেপালের বিপক্ষে। এরপর বেশ কয়েকটি অর্ধশতক এলেও তিন অঙ্ক ছিল অধরা। অবশেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো।
ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি পেলেন বাবর। যা তাকে বসিয়ে দিয়েছে সাঈদ আনোয়ারের পাশে। তার সাথে যৌথভাবে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক বনে গেছেন বাবর।
জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার ফখর জামান ও সাইম আইয়ুব। দলীয় ৭৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। সাইম ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ফখর ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে, ৭৮ রান করে আউট হন তিনি।
তারা ফিরলেও পেছনে তাকাতে হয়নি পাকিস্তানকে। রিজওয়ানকে সাথে করে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছান বাবর। রিজওয়ান ৫৪ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। এই জয়ে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল পাকিস্তান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের ৮ ব্যাটারই দুই অঙ্কের দেখা পান। তবে কেউ ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন জানিথ লিয়ানাগে, ৬৩ বলে ৫৪ রান আসে তার ব্যাটে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান কামিন্দু মেন্ডিসের, তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। এছাড়া সাদিরা সামারাবিক্রমা ৪২ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ নেন ৩টা করে উইকেট।



