অভিষেক সিরিজেই পাস শাহিন আফ্রিদি, সিরিজ পাকিস্তানের

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে স্কোর ছিল ১-১। ফলে শেষ ম্যাচটা রূপ নিয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। যেখানে শেষ হাসি পাকিস্তানের। স্পিনারদের ঘূর্ণি জাদুতে দক্ষিণ আফ্রি ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
পাকিস্তানের সিরিজ জয়
পাকিস্তানের সিরিজ জয় |নয়া দিগন্ত

হার দিয়ে শুরু হলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতল তারা। নেতৃত্বে প্রথম পরীক্ষায় পাস শাহিন আফ্রিদি।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে স্কোর ছিল ১-১। ফলে শেষ ম্যাচটা রূপ নিয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। যেখানে শেষ হাসি পাকিস্তানের। স্পিনারদের ঘূর্ণি জাদুতে দক্ষিণ আফ্রি ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা।

শনিবার ফয়সালাবাদ প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৩৭.৫ ওভারে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৭ উইকেট ও ১৪৯ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য পৌঁছে যায় পাকিস্তান। জয়ের নায়ক আবরার আহমেদ।

প্রোটিয়াদের নাঁচিয়ে মাত্র ২৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন আবরার। যদিও শুরুটা দারুণ ছিল প্রোটিয়াদের। কুইন্টন ডি কক ও লুয়ান-দ্রে প্রিটোরিয়াস যোগ করেন ৭২ রান। ৪৫ বলে ৩৯ রান করে আউট হন প্রিটোরিয়াস।

এদিন ক্যারিয়ারে ৭,০০০ রান পূর্ণ করেন ডি কক। হাশিম আমলার পর দ্বিতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে ১৫৮ ইনিংসে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ডি ককের ইনিংস থাম্ব ৫৩ রানে। এরপরই ধস নামে প্রোটিয়াদের।

৩৭ রানে শেষ আট উইকেট হারায় হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আবরার আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি শাহিন আফ্রিদি, সালমান আগা ও মোহাম্মদ নাওয়াজ নেন দু’টি করে উইকেট।

প্রোটিয়াদের ১৪৪ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে ফিরে যান ফখর জামান। তবে বাবর আজমকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন সাইম আইয়ুব।

বাবর ফেরেন ২৭ রানে, সাইম দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ফিফটি। ৭০ বলে ৭৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। বাকি কাজটুকু সারেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আগা। আর কোনো বিপদ আসেনি।

রিজওয়ান ৩২ ও সালমান ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২৫.১ ওভারে জিতে যায় পাকিস্তান। ফলে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব পেয়ে অভিষেকটা ভালোই হলো শাহিন আফ্রিদির। সিরিজ জিতেই শুরু হলো যাত্রা।