সর্বশেষ ২০১৫ সালে সাকিব আল হাসান খেলেছিলেন বিগ ব্যাশে। এরপর গত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর কাউকে দেখা যায়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই টুর্নামেন্টে। অপেক্ষা কেবল বেড়েই চলে।
অবশ্য অপেক্ষা ফুরাতে পারতো গত বছরেই, খুব কাছেই ছিলেন রিশাদ হোসেন। ড্রাফট থেকে দল পেয়েছিলেন তিনি, ডাক আসে হোবার্ট হারিকেন্স থেকে। তবে বিসিবি অনাপত্তিপত্র না দেয়ায় খেলা হয়নি তার।
সেবার রিশাদ না থাকলেও চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল হোবার্ট হারিকেন্স। তবে ভাগ্য সহায় না হওয়ায় সেই শিরোপা উৎসবে ছিলেন না তিনি। তবে এবার ফের সুযোগে এসেছে রিশাদের সামনে।
আসন্ন মৌসুমেও হোবার্ট হারিকেন্স রিশাদকে রেখে দিয়েছে তাদের স্কোয়াডে। রিশাদ লড়বেন চ্যাম্পিয়নদের হয়েই শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশ ছেড়েছেন এই তরুণ লেগ স্পিনার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে আগেই বিগ ব্যাশের পুরো মৌসুমের ছাড়পত্র পেয়েছেন রিশাদ। তাই একেবারে সব ম্যচ খেলেই দেশে ফিরবেন। যে কারণে এবারের বিপিএলে দেখা যাবে না তাকে।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হবে বিগ ব্যাশের নতুন মৌসুম। তৃতীয় দিন সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু হবে হোবার্টের। প্রথম পর্বে তাদের শেষ ম্যাচ ১৪ জানুয়ারি। সেরা চারে থাকলে বাড়বে ম্যাচের সংখ্যা।
দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে রিশাদ বিগ ব্যাশ খেলতে গেলেও ড্রাফট থেকে সরাসরি সুযোগ পেয়েছেন তিনিই প্রথম। সাকিব ২০১৪ সালে খেলেন ইয়োহান বোথার বদলি হিসেবে, ২০১৫ সালে আন্দ্রে রাসেলের বদলি হয়ে।
রিশাদের ক্যারিয়ারে দেশের বাইরে দ্বিতীয় লিগ হতে চলেছে বিগ ব্যাশ। চলতি বছর পাকিস্তান পিএসএল খেলেছিলেন তিনি, যেখানে ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে শিরোপা জেতান লাহোর কালান্দার্সকে।



