মুশফিকুর রহিম প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে শততম টেস্ট খেলেছেন— বিষয়টা এখন আর কারো অজানা নয়। এবার শততম টেস্টে সেঞ্চুরির অবিস্মরণীয় রেকর্ডও গড়তে যাচ্ছেন তিনি।
মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন শেষে মুশফিকুর রহিম দাঁড়িয়ে আছেন ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে। আর মাত্র ১ রান করলেই গড়বেন ‘সেঞ্চুরিতে সেঞ্চুরি’র কীর্তি। তার এমন ব্যাটিংয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশও। দলের সংগ্রহ ২৯২/৪।
ম্যাচটা শুরু থেকেই ছিল মুশফিকুর রহিমের, উপলক্ষ ছিল ‘শততম টেস্ট’। দারুণ এই উপলক্ষ রাঙিয়ে তুলেছেন তিনি, প্রথম দিন শেষে অপরাজিত আছেন ১৮৭ বলে ৯৯ রানে। সাথে আছেন লিটন দাস, অপরাজিত ৪৭ রান নিয়ে।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বুধবার (১৯ নভেম্বর) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি, প্রথম সেশনে ১০০ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট।
উদ্বোধনী জুটিতেই অবশ্য পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় টাইগাররা। যখন মনে হচ্ছিলো ভালো কিছু হতে যাচ্ছে, তখন ভাঙে মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামের জুটি। ৪৪ বলে ৩৫ রান নিয়ে থামেন সাদমান ইসলাম।
ইনিংস বড় হয়নি আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়েরও। তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে রেখে ম্যাকব্রিনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। আউট হন ৮৬ বলে ৩৪ রান করে।
অধিনায়ক শান্তও এরপর বেশিক্ষণ মাঠে থাকেননি, ১১ বলে ৮ রান করে ম্যাকব্রিনেরই শিকার তিনি। ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আর ৫ রান যোগ করে মধ্যাহ্নভোজের জন্য মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরে আর কোনো ভুল করেনি বাংলাদেশ। মুমিনুল হককে সাথে নিয়ে দারুণ জুটি গড়ে তোলের মুশফিকুর রহিম। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে এই সেশনে যোগ করেন ৯২ রান। জুটিতে যোগ হয় ৯৭ রান।
তবে বিরতি থেকে ফেরার পর জুটিটা আর বড় হয়নি। আর ১০ রান যোগ হতেই ফেরেন মুমিনুল হক। ম্যাকব্রিনের চতুর্থ শিকার হয়ে ৬৩ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। ততক্ষণে অবশ্য দল পেরিয়ে যায় দুই শ’ রান।
এদিকে ফিফটি করে ফেরা মুশফিকের সাথে এবার যোগ দেন লিটন দাস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি আবার লিটনেরও শততম ম্যাচ! উপলক্ষটা রাঙানোর মতো করেই খেলছেন তিনি। মুশফিকের সাথে গড়েছেন ৯০ রানের জুটি।
লিটন ফিফটি থেকে ৩ রান দূরে থেকে দিন শেষ করলেও গড়েছেন দারুণ এক রেকর্ড, ষষ্ঠ বাংলাদেশী হিসেবে টেস্টে ছুঁয়েছেন ৩ হাজারা রানের গণ্ডি। অন্যদিকে মুশফিক অপেক্ষায় আছেন কেবল ১ রান আর ১ রাতের।



