ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে দু’দেশের চলমান দুটি প্রধান ক্রিকেট লিগ- আইপিএল ও পিএসএল। যুদ্ধের কারণে পিএসএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে পিসিবি’র এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই আসে নতুন খবর- পিএসএলের বাকি আট ম্যাচ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে। কারণ দুবাইয়ে পিএসএল আয়োজনের বিষয়ে রাজি হয়নি এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড।
শোনা যাচ্ছে, পুনরায় পিএসএল শুরু হলে এক ভেন্যুতেই আয়োজন করা হতে পারে বাকি ম্যাচগুলো। এক প্রতিবেদনে এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
নতুন করে পিএসএল চালু করার লক্ষ্যে ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই বিদেশী ক্রিকেটারদের দুবাই এবং স্থানীয় ক্রিকেটারদের দেশে প্রস্তুত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে পাকিস্তানের মাটিতে আবারো পিএসএল শুরু হলে, কিছুটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশ সম্মতি দিলেও, উত্তেজনার রেশ কাটতে কিছুটা হলেও সময় লাগবে। তাই পাকিস্তানের বাইরে পিএসএল আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলি।
দেশের বাইরে পিএসএল আয়োজনে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিকল্প না ভেবে বাংলাদেশকেও বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করেন বাসিত। তার মতে, বাংলাদেশের দর্শকেরা ক্রিকেটপ্রেমী, তাই সেখানে আয়োজন করলে পিসিবিরই লাভ হবে।
বাসিত বলেন, ‘যদি টুর্নামেন্টে কোনো ঝামেলার সৃষ্টি হয়, দয়া করে খেলা দুবাইতে সরিয়ে নেবেন না। বাংলাদেশকে বিবেচনা করবেন। যেখানে স্টেডিয়ামগুলো ক্লাবের ম্যাচগুলোতেও দর্শক দিয়ে পরিপূর্ণ থাকে।’
পিএসএলের দশম আসর বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বাকি আছে আর আটটি ম্যাচ— লিগ পর্বে চারটি, তিনটি প্লে-অফ এবং ফাইনাল।
এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে থাকা কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সই শুধু প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। নয় ম্যাচে ছয় জয়ে তাদের পয়েন্ট ১৩। এ ছাড়া ১০ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দুই ও তিনে অবস্থান করছে করাচি কিংস (আট ম্যাচ) এবং ইসলামাবাদ ইউনাইটেড (নয় ম্যাচ)। পরের তিনটি দল লাহোর কালান্দার্স (৯ পয়েন্ট), পেশোয়ার জালমি (৮ পয়েন্ট) ও মুলতান সুলতানস (২ পয়েন্ট)। তলানিতে থাকা সাবেক চ্যাম্পিয়ন মুলতান ইতোমধ্যে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে।