আলোচনা আগেই ছিল, এবার এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে দীর্ঘ সময় নয়, আপাতত খণ্ডকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ হয়েছে তার।
ব্যাটে-বলে বাংলাদেশ দলের পারফম্যান্সের মোটেই ভালো যাচ্ছে না। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে বড় কারণ ছিল ব্যাটিং ব্যর্থতা।
এর আগে, ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও ব্যাটাররা হতাশ করেছেন তিন ম্যাচেই। বাজেভাবে ওয়ানডে সিরিজ হারে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। তিন ম্যাচে স্কোর ছিল যথাক্রমে- ২২১, ১০৯ ও ৯৩!
এরপর থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পেতে চলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে বিষয়টা আটকে ছিল। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিসিবি’র সভায় অনুমোদন পেয়েছে তার নিয়োগ।
অবশ্য পূর্ণকালীন সময়ের জন্য না হলেও আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন আশরাফুল। সভা শেষে এমনটা নিশ্চিত করেছেন বিসিবি পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক।
জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক নিজেও। আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় দলের সাবেক এই স্পিনার।
আশরাফুলের নিয়োগের বিষয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘সে বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোর্স করেছে, লেভেল-থ্রি কোচিং কোর্স করেছে। প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলে কোচিং করাচ্ছে। ওর যে অনেক অভিজ্ঞতা আছে, তা যেন শেয়ার করতে পারে আমাদের খেলোয়াড়দের সাথে।’
এর আগে, বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নিক পোথাস। স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্বে ছিলেন ডেভিড হেম্প। তিনি যাওয়ার পর সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।
এবার সে দায়িত্ব এসেছে আশরাফুলের ওপর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের দায়িত্ব এখন তাহলে কী হবে? উত্তরে রাজ্জাক জানান, সবাই যার যার নিজ দায়িত্বে কাজ করবেন।
‘সালাউদ্দিন সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ হিসেবে আছেন। এখানে কারো ব্যর্থতা বা কারো দায়িত্বে অন্য কাউকে আনা হয়নি। এমনকি কাউকে তার জায়গা থেকে সরিয়েও দেয়া হয়নি।’
টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিজের দায়িত্বেরও ব্যাখ্যা করেন রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য যেকোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, সেটিও দেয়ার চেষ্টা করব।’
এই সময় নারী ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর সুখবর দিয়ে দিয়ে রাজ্জাক জানান, ‘নারী ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা ৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ ডলার ও ট্যুর ফি ২৫ থেকে ৫০ ডলার করা হয়েছে। ক্রিকেটারদের মাসিক পারিশ্রমিকও গড়ে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
 


