টেস্টে চতুর্থবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের

তৃতীয়বারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই পেয়েছিল বাংলাদেশ। গত এপ্রিলে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারায় তারা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ টেস্ট দল
বাংলাদেশ টেস্ট দল |ক্রিকইনফো থেকে নেয়া ছবি

নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ১৫৫ ম্যাচ খেলে চতুর্থবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

দুই ম্যাচ সিরিজে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এটি ২৪তম জয় বাংলাদেশের। এর মধ্যে ইনিংস ব্যবধানে জয় চারবার।

২০০০ সালের ১০ নভেম্বর টেস্ট অভিষেকের ১৮ বছর পর প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

২০১৮ সালের নভেম্বরে মিরপুরে অনুষ্ঠিত টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বড় ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৫০৮ রান করে টাইগাররা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৩৬ রান করেন।

জবাবে দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১১১ ও ২১৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রাখেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।

প্রথমবার ইনিংস ব্যবধানে জয়ের জন্য যেখানে ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে, সেখানে দ্বিতীয়বার ইনিংস ব্যবধানে জিততে অপেক্ষা করতে হয় ১৫ মাস। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।

ওই টেস্টের দুই ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ২৬৫ ও ১৮৯ রান করে। এক ইনিংস ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ব্যাট হাতে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ২০৩ ও মুমিনুল হক ১৩২ রান করেন। বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে নাইম হাসান ৯ ও তাইজুল ইসলাম ৬ উইকেট নেন।

তৃতীয়বারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই পেয়েছিল বাংলাদেশ। গত এপ্রিলে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারায় তারা।

টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২২৭ ও ১১১ রান করে জিম্বাবুয়ে। ম্যাচে এক ইনিংস ব্যাট করে ৪৪৪ রান করে বাংলাদেশ। সাদমান ইসলাম ১২০ ও মিরাজ ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন। বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করে জিম্বাবুয়েকে লড়াই করার সুযোগ দেননি মিরাজ।