শেষ মুহূর্তে দলকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেয়া আকবর আলির কাছে নতুন কিছু নয়। অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ফের দেখালেন সেই ঝলক। ধসের মুখে দাঁড়িয়ে একাই জেতালেন দলকে, নিশ্চিত করলেন কোয়ালিফায়ার।
সিলেটে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এলিমিনেটর ম্যাচে আকবর আলির রংপুর বিভাগ মুখোমুখি হয় ঢাকার। যেখানে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে ১ উইকেটে হারায় রংপুর।
লো স্কোরিং ম্যাচে আগে ব্যাট করে শেষ বলে গুটিয়ে যাবার আগে ১২৩ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ম্যাচটা জিতে নেয় গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। টিকে যায় শিরোপার লড়াইয়ে।
ম্যাচটা ছিল ডু অর ডাই। জিতলে নিশ্চিত হবে কোয়ালিফায়ার, হারলে নিতে হবে বিদায়। এমন সমীকরণের ম্যাচে বল হাতে ঢাকাকে শুরু থেকেই চেপে ধরেন রংপুরের বোলাররা।
এর আগে, ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা বিভাগ। আশিকুর রহমান শিবলী, জিসান আলম, আরিফুল কিংবা অঙ্কন, কেউই ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি।
ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে ৬ ছক্কা ও ২ চারে ৩৬ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এছাড়া ১৩ বলে ১৫ রান করেন শুভাগত হোম। তাতে ১২৩ রানে শেষ হয় ঢাকার ইনিংস।
রংপুরের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ, আবু হাশিম, নাসির হুসাইন ও আলাউদ্দিন বাবু।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরুর আভাস দেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অনিক সরকার। তাদের দু’জনের ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। ৯ রান করে আউট হন মামুন।
পরের ওভারে আউট হয়েছেন অনিকও। ১৬ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ফিরেছেন জাহিদ জাভেদ। দ্রুত ফেরেন ইকবাল হোসেন ইমনও। দু’জনেই ফেরেন ২ রান করে।
নাসির হোসেন ২০ বলে ৯ ও নাইম ইসলাম ২ রান করে বিদায়ে আরো চাপ বাড়ে। ১১.২ ও আদে ৫২ রানে ৬ উইকেট হারায় রংপুর। এরপর জুটি গড়ে তোলেন নাসুম আহমেদ ও আকবর।
তাদের দু’জনের ব্যাটেই বিপর্যয় সামাল দেয় রংপুর। তাদের দু’জনের ব্যাটে ৪১ বলে ৬২ রান যোগ করে ঘুরে দাঁড়ায় দলটা। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল এই জুটিতেই জিতে যাবে রংপুর।
কিন্তু ১৯তম ওভারে বল হাতে নিয়ে ২৩ বলে ২৬ রান করা নাসুমকে ফেরান রাফসান রহমান। একই ওচারে আলাউদ্দিন বাবুকেও ফেরান তিনি। সেই ওভার শেষে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ১১৬/৮।
ফলে শেষ ওভারে বাকি থাকে ৮ রান। তখন রিপন মণ্ডলকে প্রথম বলেই চার মেরে দেন আকবর। তবে এরপরই ফিরতে হয় তাকে, আউট হন ২৭ বলে ৪৪ রান করে। তবে ৪ বলে ৪ রানের সমীকরণ মেলাতে সমস্যা হয়নি।
১ বল বাকি থাকতে শেষ উইকেটে দলকে জেতান আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও আবু হাশিম। ঢাকার হয়ে তিনটি উইকেট নেন মাহফুজুর রহমান। দু’টি করে উইকেট নেন নাজমুল অপু, রিপন ও রাফসান রহমান।