এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপে তিন-তিনবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। শেষবার সাত বছর আগে, ২০১৮ সালে। তবে সেই অপেক্ষা ঘুচতে পারে আজ। ফাইনালে যেতে সহজ লক্ষ্যই পেয়েছে বাংলাদেশ।
ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। যেখানে আগে ব্যাট করে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান, তাসকিন-রিশাদদের তোপে মাত্র ১৩৫ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস।
এই ম্যাচেও একাদশে ছিলেন না লিটন দাস। নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়া জাকের আলিই আসেন টস করতে। নেন আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। অধিনায়ক জাকের প্রথম ওভারেই বল তুলে দেন তাসকিনের হাতে।
গত ম্যাচে একাদশে না থাকা এই পেসার চতুর্থ বলেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। মাত্র ৪ রানে ভেঙেছে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। তাসকিন ফেরান সাহিবজাদা ফারহানকে (৪)।
পরের ওভারে আঘাত আনেন শেখ মেহেদী। তিনিও ভারতের বিপক্ষে ছিলেন না দলে। সেই আক্ষেপ মেটান প্রথম ওভারেই তার শিকার সাইম আইয়ুব (০)। ৫ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর আঘাত আনেন রিশাদ হোসেন। জোড়া শিকার তার। প্রথমে ফখর জামানকে ফেরানোর পর হোসাইন তালাতকে ফিরিয়েছেন তিনি। যা ভেঙে দেয় পাকিস্তানের ইনিংসের মেরুদণ্ড।
৬.৩ ওভারে তানজিম সাকিবকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় ফখরের ২০ বলে ১৩ রানের ইনিংস। সেই ওভারে দেন মাত্র ২ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে এসেই ফেরান হোসাইন তালাতকে। তালাত ফেরেন ৭ বলে মাত্র ৩ করে।
৯ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৭/৪।
সালমান আগা ও মোহাম্মদ হারিস মিলে সেখান থেকে হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে সালমানকে ফিরিয়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেন মোস্তাফিজ।
সালমান ফেরেন ২৩ বলে ১৯ করে। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ষষ্ঠ উইকেটটাও চলে আসতো পারতো, তবে ঝাঁপিয়ে পড়েও শাহিন আফ্রিদির ক্যাচটা নিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান।
এরপর আরো একবার জীবন পান শাহিন। সুযোগ পেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১২ বলে ১৯ রান করা শাহিনকে থামান তাসকিন। এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজকে নিয়ে জুটি বাঁধেন হারিস।
এই জুটিই পাকিস্তানকে পৌঁছায় তিন অঙ্কে। ২৪ বলে ৩৮ রান আসে জুটিতে। হারিসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মেহেদী, ২৩ বলে ৩১ করে আউট হন তিনি। নাওয়াজ ফেরেন ১৫ বলে ২৫ করে।
১৮.২ ওভারে ১২০ রানে ৮ম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৪ রানে ১৩৫ পর্যন্ত পৌঁছায় পাকিস্তান। বলা যায় বল হাতে নিজেদের কাজটা করে দিয়েছেন বোলাররা।
তাসকিন আহমেদ ২৮ রানে ৩, শেখ মেহেদী ২৮ রানে ২ ও রিশাদ হোসেন ১৮ রানে নেন ২ উইকেট।