ব্যাটিং ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩ উইকেটে ১৬৫ রানের বিপরীতে ইনিংস শেষ হয় ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে। তাতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের |সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর সাগরিকায় ফিরেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি, টাইগারদের বরণ করে নিতে তাই আনন্দে আটখানা হয়েছিল চট্টগ্রামবাসী। মাঠে ছিল তাদের সরব উপস্থিতি। তবে তাদের ভরসা রাখতে পারেননি লিটন বাহিনী।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩ উইকেটে ১৬৫ রানের বিপরীতে ইনিংস শেষ হয় ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে। তাতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।

১৬৬ রানের লক্ষ্য। চ্যালেঞ্জিং হলেও টি-টোয়েন্টিতে কঠিন কিছু নয়। তবে এই রানটাই কঠিন হয়ে উঠেছে। ৪ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতেই ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ, ভেঙে যায় ইনিংসের মেরুদণ্ড। ৬ ওভার শেষে স্কোর ছিল ৪২/৪।

অবশ্য প্রথম ওভারে ১২ রান তুলে শুরুটা ভালোই করেছিল, তবে দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই তানজিদ তামিমকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দেন জয়দেন সিলস। ৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন তিনি।

আর পরপর দুই ওভারে এসে লিটন দাস ও সাইফ হাসানকে ফেরান আকিল হোসেইন। প্রায় মাস খানেক পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন। সাইফের ব্যাটে আসে ৮ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আউট হন শামিম পাটোয়ারী। প্রমোশন পেয়ে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে আসলেও ৪ বলে ১ রান করেই জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হন শামিম। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

৮.৩ ওভারে দলকে ৫৭ রানে রেখে আউট হন নুরুল হাসান সোহান। ১০ বল খেলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকা তাওহীদ হৃদয় আউট হন ২৫ বলে ২৭ করে।

১২ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তানজিম সাকিব ও নাসুম আহমেদ। ২৩ বলে ৪০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন দুজনে। তবে এরপর দুজনেই ফেরেন দ্রুত।

দলকে ১১৭ রানে রেখে ২৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন তানজিম। ১৬.৪ ওভারে ১৩ বলে ২০ রান করে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন নাসুম। ১৬.৪ ওভারে ১২৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা।

এরপর রিশাদ ৩ বলে ৬, তাসকিন আহমেদ ৮ বলে ১০ করে আউট হলে ১৯.৪ ওভারে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। মোস্তাফিজুর রহমান অপরাজিত থাকেন ১১ রানে। সিলস ও হোল্ডার নেন ৩টি করে উইকেট।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হাতের নাগালেই আটকে দেয়ার সব রকম চেষ্টাই করেছিল বাংলাদেশ। ১৭ ওভার শেষে রান ছিল ১১৪/৩। তবে শেষ ৩ ওভারে এসে হিসাব বদলে দেয় ক্যারিবীয়রা, যোগ করে ৫১ রান।

টসে জিতে ব্যাট হাতে দেখেশুনে শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ৮ ওভারে বাংলাদেশকে কোনো সুযোগ দেননি অ্যালিক আথানেজ ও ব্র্যান্ডন কিং। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে তারা তুলে নেন ৫৮ রান।

তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। দলকে প্রথম উইকেট এনে দেন ২৭ বলে ৩৪ রান করা আথানেজকে বিদায় করে। তিনে মাঠে আসেন শাইহোপ, তবে জমেনি কিংয়ের সাথে তার জুটি।

১৩তম ওভারের প্রথম দুই বলে জোড়া আঘাত এনে জুটি বড় হতে দেননি তাসকিন আহমেদ। প্রথম বলে ব্রেন্ডন কিংকে (৩৩) ফেরানোর পরের বলেই ফাঁদে ফেলেন শেরফানে রাদারফোর্ডকে (০)। স্কোর তখন ৮২/৩।

সেখান থেকে পরের ৫ ওভার দেখেশুনে খেলেন শাইহোপ ও রভম্যান পাওয়েল। তবে শেষ ৩ ওভারে চালান তাণ্ডব। পাওয়েল ও শাইহোপ দুজনেই সমান ৪টি করে ছক্কায় ২৮ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন।