মাঠে গড়ানোর আগে যে উত্তেজনা ছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে, তার বিন্দুবিসর্গও যেন ছিল না খেলাতে। আরো একবার একতরফা জয় ভারতের, পাত্তাই পায়নি ম্যান ইন গ্রিনরা।
এশিয়া কাপের বহুল আলোচিত ম্যাচে রোববার মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। ‘সৌজন্যতা’ না দেখিয়ে আলোচনার জন্ম দিলেও মাঠে ছড়ায়নি উত্তাপ। নিরুত্তাপ ম্যাচে ভারতের জয় ৭ উইকেটে।
দুবাইয়ে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান অধিনায়ক, তবে সাহসী ব্যাটিং উপহার দিতে পারেনি তার দল। ৯ উইকেটে করে ১২৭ রান। যা ১৫.৫ ওভারেই পেরিয়েছে ভারত।
এবারের এশিয়া কাপে টানা দুই জয়ে শেষ চারের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে ভারত। অন্যদিকে বাড়ছে পাকিস্তানের অপেক্ষা। যদিও তারচেয়েও বেশি পোড়াবে ভারতের সাথে হারের যন্ত্রণা।
এদিন শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়াকে উইকেট দিয়ে আসেন সাইম আইয়ুব। তিনে নেমে টিকতে পারেননি মোহাম্মদ হারিসও (৩); বুমরাহর শিকার তিনি।
ফখর জামান ও সাহিবজাদা ফারহান মিলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন৷ তবে ফখরকে ১৭ রানে থামিয়ে দিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। চারে নেমে সালমান আগা করেছেন ১২ বলে ৪ রান।
১০ ওভারে মাত্র ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ১৩তম ওভারে জোড়া আঘাত করেন কুলদীপ যাদব। ১২.৪ ওভারে হাসান নাওয়াজ (৫) ও পরের বলে মোহাম্মদ নাওয়াজকে (০) ফেরান তিনি।
একদিক থেকে সাহিবজাদা ইনিংস ধরে রাখলেও তাতে ছিল না গতি। ১৬.১ ওভারে কুলদীপের তৃতীয় শিকার হন তিনি, ইনিংস শেষ হয় ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ বলে ৪০ রানে। ফাহিম আশরাফের ব্যাটে আসে ১১ রান।
পাকিস্তানের সংগ্রহ তিন অঙ্ক পেরোয় শাহিন আফ্রিদির কল্যাণে। এই পেসার আজ জ্বলে ওঠেন ব্যাট হাতে। ৪ ছক্কায় ১৬ বলে ৩৩ করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬ বলে ১০ রান আসে সুফিয়ান মুকিমের ব্যাটে।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৭ রান করতে পারে পাকিস্তান। ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব ৩, জাসপ্রিত বুমরাহ ও অক্ষর প্যাটেল নেন ২টি করে উইকেট।
যা তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু পায় ভারত। প্রথম দুই বলেই শাহিন আফ্রিদিকে চার-ছক্কা হাঁকান অভিষেক শর্মা। তবে শুভমান গিল সুবিধা করতে পারেননি, দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন (১০) সাইম আইয়ুবের শিকার হয়ে।
বিধ্বংসী হয়ে ওঠা অভিষেককেও ফেরান সাইম আইয়ুব। পরের ওভারে এসে ১৩ বলে ৩১ করা এই ব্যাটারকে থামান তিনি। পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না হারিয়ে আসে ৬২ রান।
এরপর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক সূর্য কুমার। তিলক ভার্মাকে নিয়ে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন তিনি। দুজজনে মিলে ৫২ বল খেলে যোগ করেন ৫৬ রান। তিলক আউট হন ৩১ বলে ৩১ করে। তিনিও সাইমের শিকার।
১২.২ ওভারে ৯৭ রানে ৩ উইকেট পতনের পর বাকি পথটা শিভাম দুবেকে নিয়ে শেষ করেন ভারত অধিনায়ক। সুফিয়ানকে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করার আগে করেন ৩৭ বলে ৪৭ রান। দুবের রান ১০*।
এদিন মাঠের ক্রিকেটের চেয়ে অন্য ঘটনা বেশি আলোচনার সৃষ্টি করে। খেলা শুরুর আগে টসের পর সাধারণত দুই অধিনায়ক সৌজন্যতামূলক হাত মেলালেও এদিন তা হয়নি।
এমনকি ম্যাচ শেষেও হাত মেলায়নি দুই দলের ক্রিকেটাররা। ম্যাচ শেষ করে দৌড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান সূর্য কুমার ও শিভাম দুবে।