আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে রোমাঞ্চের দেখা, সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কাকে হারালো ভারত

টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২০২ রান তুলে ভারত। যা এবারে আসরের সর্বোচ্চ। ফলে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পায় লঙ্কানরা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
কুশল মেন্ডিসের উইকেটের পতনের পর হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক ভার্মার উল্লাস
কুশল মেন্ডিসের উইকেটের পতনের পর হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক ভার্মার উল্লাস |সংগৃহীত

ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের গুরুত্ব হারিয়েছে আগেই। তবে এশিয়া কাপের আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচটি জমে ওঠে বেশ। জমিয়ে তুলেন পাথুম নিশানকা, দারুণ সেঞ্চুরিতে ছড়ান উত্তেজনা। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।

তবে সুপার ওভারে লড়াই জমিয়ে তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করে মাত্র ২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। যা ১ বল খরচ করেই পেরিয়ে যায় ভারত। তাতে শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়েই ফাইনালে পৌঁছাল তারা।

শুক্রবার দুবাইয়ে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২০২ রান তুলে ভারত। যা এবারে আসরের সর্বোচ্চ। ফলে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পায় লঙ্কানরা।

তবে চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করে শ্রীলঙ্কা, নিশানকার সেঞ্চুরিতে বিশাল এই সংগ্রহও করে ফেলে তাড়া। তবে জয় নিশ্চিত কর‍তে পারেনি, ৫ উইকেট হারিয়ে সমান ২০২ রান করে তারাও। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

আগের দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭৪ ও ৭৫ রানের ইনিংস খেলার পর আজ শ্রীলঙ্কার সাথেও জ্বলে উঠেন অভিষেক শর্মা। খেলেন ৩১ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। আসরের সর্বোচ্চ ৩০৯ রান এখন তার।

অভিষেক ঝড় তুললেও ভালো করতে পারেননি শুভমান গিল (৪) ও সূর্যকুমার যাদব (১২)। ৮.৪ ওভারে ৯২ রানে দলকে রেখে ফেরেন অভিষেক। এরপর তিলক ভার্মা ও স্যাঞ্জু স্যামসন মিলে গড়েন ৬৬ রানের জুটি।

স্যামসন আউট হন ২৩ বলে ৩৯ করে। ভার্মা অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৪৯ করে। ১৫ বলে ২১ রান করেন অক্ষর প্যাটেল। তাতেই এবারের এশিয়া কাপে প্রথমবার ২০০ রানের গন্ডি পেরোয় কোনো দল।

ফলে সান্ত্বনার একটা জয় নিয়ে দেশে ফিরতে হলে রান পাহাড় টপকাতে হতো শ্রীলঙ্কাকে। সেই কাজ করতে গিয়ে প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসের (০) উইকেট হারায় দল। তবে তার প্রভাব পড়েনি লঙ্কানদের ওপর।

প্রভাব পড়তে দেননি পাথুম নিশানকা ও কুশল পেরেরা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনেই হয়ে উঠেন বিধ্বংসী, ভারতীয় বোলারদের করতে থাকেন সীমানা ছাড়া। জুটিতে আসে ৭০ বলে ১২৭ রান।

মাত্র ২৫ বলে ফিফটি করেন নিশানকা, ২৭ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান পেরেরা। তবে ১২.২ ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হয়ে পেরেরা ফিরলে ভাঙে জুটি, ৩২ বলে ৫৮ রান আসে তার ব্যাটে।

তবে নিশানকা থামেননি, চলতে থাকে তার ব্যাট। অন্য প্রান্ত থেকে আসালাঙ্কা (৫), কামিন্দু মেন্ডিস (৩) করে আউট হলেও রানের গতি ধরে রাখেন তিনি। এর মাঝে ৫২ বলে তুলে নেন প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটাও।

শ্রীলঙ্কার চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিন অঙ্কে পৌঁছান তিনি। তার ব্যাটেই জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা। একটা পর্যায়ে শেষ ওভারে প্রয়োজন দেখা দেয় ১২ রানের।

তবে এমন সময় ঘটে বিপত্তি, হার্ষিত রানার বলে ক্যাচ দিয়ে বসেন নিশানকা। শেষ হয় তার ৭ চার ও ৬ ছক্কার ৫৮ বলে ১০৭ রানের ইনিংস। অন্যদিকে শেষ ৫ বলে ১১ রান তুলে নেন শানাকা। তাতে ম্যাচ হয় টাই।

সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে এসে প্রথম বলেই কুশল পেরেরার উইকেট হারায় লঙ্কানরা, পরের ৩ বলে আসে ২ রান। ৫ম বলে দাসুন শানাকাকেও তুলে নেন আর্শদ্বীপ সিং। ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩ রানের।

সেই রান হাসারাঙ্গার প্রথম বলেই দৌড়ে নিয়ে নেন সূর্য কুমার ও শুভমান গিল। তাতে প্রথম পর্ব ও সুপার ফোর শেষেও অপরাজিত থেকেই রোববার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে ভারত।