এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে ছিলেন না সাইফ হাসান। তবে পরের চার ইনিংসে সুযোগ পেয়ে করেন বাজিমাত, ওপেনিংয়ে নেমে হাঁকান জোড়া ফিফটিও। তবে আফগানিস্তান সিরিজে খেলেছেন নম্বর তিনে।
এদিকে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিন নম্বরে ব্যাট করছিলেন লিটন দাস। ইনিংস গড়ার গুরুদায়িত্বটা নিজের কাঁধেই রেখেছিলেন তিনি। সবশেষ এশিয়া কাপেও এর ব্যত্যয় হয়নি।
তবে সাইড স্ট্রেইনের চোটে এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে পারেনি লিটন। তার বদলে ভারতের বিপক্ষে পারভেজ ইমন ও পাকিস্তান ম্যাচে তাওহীদ হৃদয়কে তিনে খেলায় দল।
তবে কারো কাছেই প্রত্যাশার পারফরম্যান্স পায়নি বাংলাদেশ। এদিকে আফগানিস্তান সিরিজেও লিটনকে না পাওয়ায়, যখন চিন্তায় বাংলাদেশ- তখন কোচ ফিল সিমন্স এই দায়িত্ব তুলে দেন সাইফ হাসানেই কাঁধে।
এশিয়া কাপে ওপেন করা এই ব্যাটার প্রথম দুই ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। ফেরেন ০ ও ১৮ রানে। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে দেখা দেন স্বরূপে। খেলেন ৩৮ বলে ৭ ছক্কায় ৬৪* রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।
ম্যাচসেরা হয়ে নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে সাইফ বলেন, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ পজিশন। গত টুর্নামেন্টে আমি ওপেনিং করেছিলাম। কিন্তু কোচ ফিল সিমন্স সিরিজ শুরুর আগে আমাকে পরিষ্কার একটা পরিকল্পনা দিয়েছে। সে আমাকে বলেছে, আমি তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে যাচ্ছি। সুতরাং আমি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছি।’
দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি সাইফ। বলেন, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। আমাদের জন্য খুব ভালো একটা সিরিজ ছিল। আশা করি আমরা এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারব।’
পাশাপাশি নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে সাইফ বলেন, ‘গত দু’-এক বছর ধরেই আমি এভাবে ব্যাটিং করছি। আমি শুধু আমার ব্যাটিং উপভোগ করছি।’