অবশেষে গামিনিকে বিদায় দিলো বিসিবি

দেড় যুগ পর বিসিবি প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে বিদায় দিয়েছে; মন্থর উইকেট ও বিতর্কে জড়ানো এই শ্রীলঙ্কানকে চুক্তির মেয়াদ শেষের আগেই সমঝোতায় বিদায় জানানো হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
গামিনি ডি সিলভা
গামিনি ডি সিলভা |সংগৃহীত

অবশেষে গামিনি ডি সিলভাকে নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মন্থর উইকেটের কারণে বারবার সমালোচিত হওয়া এই শ্রীলঙ্কান কিউরেটরকে বিদায় করে দিয়েছে বিসিবি।

বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন আলোচিত এই কিউরেটর। শেষ হলো এ দেশে তার প্রায় দেড় যুগের অধ্যায়। দীর্ঘ সম্পর্কের ইতি টেনে শুক্রবার রাতেই নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায় ফিরে গেছেন তিনি।

২০১০ সাল থেকে বিসিবির প্রধান কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন গামিনি। প্রায় দেড় দশক ধরে তার হাতেই ছিল মিরপুরের উইকেট তৈরির দায়িত্ব। হয়ে উঠেছিলেন অলিখিত ‘ডন’।

যদিও এই সময়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। মানহীন মন্থর উইকেট তো আছেই, মাঠ কর্মীদের সাথে বাজে ব্যবহার, ক্রিকেটারদের অনুশীলন করতে না দেয়াসহ অনেক বিতর্কের জন্ম দেন তিনি।

ক্রিকেটারকে মাঠ থেকে বের করে দেয়া, এমনকি তারকা ক্রিকেটারকে জাতীয় দল থেকে বাদ করে দেয়ার হুমকির অভিযোগও উঠে তার নামে। মিরপুরে তিনি যেন পরোয়া করতেন না কাউকেই।

এমনকি ক্রিকেট বোর্ডে বদল আসলেও পরিবর্তন আসেনি গামিনির পদে। তবে অবশেষে কঠিন এই কাজটাই করলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছেন এই অলিখিত ‘ডনকে’।

সবশেষ ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে উইকেট বানিয়ে বিপাকে পড়েন গামিনি। সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের কোচ-অধিনায়ক সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন মিরপুরের উইকেট নিয়ে।

এরপরই মূলত নড়েচড়ে বসে বিসিবি। ক’দিন আগে আনা হয় অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর টনি হেমিংকে। দেশে পা রাখার পর থেকেই মিরপুরের উইকেট নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তখন আবার ছুটিতে পাঠানো হয় গামিনিকে।

ছুটি শেষে দেশে ফেরার পর তাকে পাঠানো হয় রাজশাহীতে। মূলত আগেই চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করে ফেলায় ছিল কিছু জটিলতা। সেসব এড়িয়ে এবার গামিনিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়ে দিলো বিসিবি।

আগামী বছরের জুলাই পর্যন্ত যদিও ছিল চুক্তির মেয়াদ। তবে সেটি পূর্ণ হওয়ার নয় মাস বাকি থাকতেই সমঝোতার মাধ্যমে সম্পর্কের ইতি টানল গামিনি ও বিসিবি।