ক্রিকেটার তোফায়েলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণ মামলায় তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সামিউল ইসলাম। তিনি গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
তোফায়েল আহমেদ
তোফায়েল আহমেদ |ইন্টারনেট

জাতীয় দলের খুব কাছেই ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, খেলছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে। তবে এর মাঝেই খবরের শিরোনাম হলেন তিনি। কিন্তু যেভাবে খবর হলেন, তা কেউ চাইবে না কখনো। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

নারী কেলেঙ্কারি বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। এর আগেও জাতীয় দলের অনেক তারকা ক্রিকেটারের নাম উঠে এসেছে নানা কাণ্ডে। এবার ধর্ষণের বিব্রতকর ঘটনায় আলোচনায় উঠে এসেছেন তোফায়েল।

ধর্ষণ মামলায় তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সামিউল ইসলাম। তিনি গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন।

আজ বৃহস্পতিবার সামিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামি ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। ওইদিন অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। সাক্ষীরা আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরবেন।

অবশ্য অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাটি মামলার ছয় মাস আগে হয়েছে বিধায় কোনো আলামত জব্দ করা সম্ভব হয়নি। মামলার বাদি নিজেও কোনো আলামত উপস্থাপন করতে পারেননি।

তবে সার্বিক তদন্তে প্রথম দিনের ঘটনা, হোটেল বুকিং কপি, ধর্ষণের মেডিক্যাল রিপোর্টসহ অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনায় আসামি তোফায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়।

জানা যায়, গত জানুয়ারিতে ফেসবুকে পরিচয় হয় তোফায়েল ও ভুক্তভোগী তরুণীর। পরবর্তীতে মেসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। সে সময় তোফায়েল বিয়ের আশ্বাস দেন।

এরপর গত ৩১ জানুয়ারি ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তোফায়েল তরুণীকে গুলশানের একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আরো কয়েকবার একইভাবে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় গত ১ আগস্ট তরুণী গুলশান থানায় মামলা করেন। যার পরিপেক্ষিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন তোফায়েল।

তবে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হলেও তিনি তা করেননি।