হুমকি-ধমকি আগেই দিয়ে রেখেছিল ক্লাবগুলো, এবার সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো ৪৮টি ক্লাব। তামিম ইকবালকে সাথে নিয়ে এই কড়া সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন ক্লাব কর্মকর্তারা।
বিসিবির নবনির্বাচিত কমিটিকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে ও নির্বাচনে ‘কারচুপির’ অভিযোগ তুলে বুধবার দেশের সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার ক্লাবগুলোর প্রভাবশালী এই অংশ।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ অবশ্য আগেই তুলেছিলেন তারা। গত ৪ অক্টোব নির্বাচন পেছানোসহ তিনটি শর্ত দিয়েছিলেন এই সংগঠকরা। একই দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছেও স্মারকলিপি পাঠান তারা।
তাদের দাবি ছিল, বিসিবির বর্তমান (বিগত) নির্বাহী পর্ষদের সময় বাড়িয়ে নির্বাচনের পুনঃতফসিল, বিকল্প হিসেবে অ্যাডহক কমিটির কাছে দায়িত্ব দেয়া এবং পুনঃনির্ধারিত সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোটগ্রহণ করা।
তবে এসব দাবি না মেনে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হলে আজ রাজধানীর এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ক্লাবগুলো।
এসময় কড়া ভাষায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘এই বয়সে আমরা বহু বিতর্কিত নির্বাচন দেখেছি, রাতের ভোট এবং দিনে কারচুপি দেখেছি। সব কিছুকে ছাপিয়ে সবার সামনেই এবারের ভোট হলো। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাদের কথা যেহেতু তাদের কানে পৌঁছায়নি, সেজন্য আমরা আসন্ন সব প্রতিযোগিতা বর্জন করব।’
তিনি বলেন, সামনে ফেডারেশন ক্রিকেট লিগ আছে, সেখান থেকে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ আছে, দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ থেকে প্রথম বিভাগ, প্রিমিয়ার ডিভিশন আমরা যে সব ক্লাব আছি ভেবেছিলাম অংশ নেব।
‘আজ থেকে আমরা বলতে চাই, ক্রিকেট সৌন্দর্য হারিয়েছে। আমরা ক্রিকেট খেলব না। আপনারা যারা ক্লাব প্রতিনিধি আছেন, কাউকে যদি হুমকি দেয়া হয়, ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলা হয় আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপাতত ক্রিকেট বন্ধ থাকবে। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি।’
ক্রিকেট বয়কটের হুমকি দিয়েই দেশ ছেড়েছিলেন তামিম ইকবাল। দেশে ফিরে আবারো দৃশ্যপটে তিনি। বিসিবি নির্বাচন ইস্যুতে ফের সরব সাবেক এই ক্রিকেটার। সংগঠকদের সাথে থেকেই দিলেন ক্রিকেট বয়কটের ডাক।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তামিমও। জানান, স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জয়ী হতেন।
তিনি বলেন, ‘সমঝোতার সাথে আমরা একমত ছিলাম না দেখেই তো বের হয়ে এসেছি।’
তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু জিনিস আমাদের দিক থেকে এতটুকুই থাকুক। এটা নিয়ে পাবলিকলি আলোচনা করা ঠিক না। প্রথম দিন থেকেই অবস্থান একই ছিল। ঠিক এ কারণেই এখান থেকে সরে আসা।
তামিম যোগ করেন, ‘আমি এটা গ্যারেন্টি দিয়ে বললাম, যদি স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়াতাম, আমার পক্ষে কোন টিম আছে, আমার বিপক্ষে কোন টিম আছে, তারপরও আমি সহজেই পাশ করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই ক্রিকেটের স্বার্থে আছি।’