সহজ জয়ের পথে ছিল পাকিস্তান। তবে সহজভাবে জেতা হলো না তাদের, স্বাগতিকদের কাঁপিয়ে দিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। শেষ ওভারে আবার ভীতি ছড়ালেন মাহিশ থিকশানা। সব মিলিয়ে রোমাঞ্চ ছড়াল ষোলআনা।
যেখানে শেষমেশ ঘাম ঝরিয়ে ৬ রানের স্বস্তির জয় পায় পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে মঙ্গলবার আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৯৯ রান করে স্বাগতিকেরা। বিপরীতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।
অথচ ২১০ রানেই লঙ্কানদের ৭ উইকেট তুলে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছিল পাকিস্তান। তখনো জয়ের জন্য ৯০ রান প্রয়োজন থাকলেও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ছাড়া ক্রিজে ছিলেন না কোনো জাত ব্যাটার। তবুও ম্যাচটা জমে উঠে।
এদিন নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা। দুই ওপেনার কামিল মিশারা ৩৬ বলে ৩৮ আর পাথুম নিসাঙ্কা ৩৯ বলে ২৯ রান করে আউট হন। কুশল মেন্ডিস অবশ্য প্রথম বলেই বোল্ড হন। তিনজনকেই ফেরান হারিস রউফ।
চতুর্থ উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন সাদিরা সামাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কা। তারাও ইনিংস বড় করতে পারেননি। সামাবিক্রমা ৪৮ বলে ৩৯ আর আসালাঙ্কা ৪৯ বলে ৩২ রান করে আউট হন।
এরপর জানিথ লিয়ানাগে ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হন। দলীয় ২১০ রানে কামিন্দু মেন্ডিস আউট হলে ম্যাচ থেকে এক প্রকার ছিটকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। এরপরই দুশমন্থ চামিরা ও থিকশানাকে নিয়ে একাই আতঙ্ক ছড়ান হাসারাঙ্গা।
৯ বলে দলের জয়ের জন্য যখন ২১ রানের প্রয়োজন তখন নাসিম শাহর শিকার হন হাসারাঙ্কা। ৫২ বলে ৭ চারের মারে ৫৯ রানে থামে তার ইনিংস। সেখান থেকে থিকশানা টানেন দলকে, শেষ ওভারে প্রথম ৪ বলে নেন ১২ রান।
তবে পরের ২ বলে আরো ৯ রান করতে হতো, কিন্তু ২ রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি। ফলে খুব কাছে গিয়েও হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ।
এর আগে পাকিস্তানকে বড় পুঁজি এনে দেয়ার কাজটা করেন সালমান আগা। ৯৫ রানের মাঝে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে টানেন তিনি। সালমান ও হুসাইন তালাত মিলে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি।
সালমান ৮৭ বলে ৯ চারের মারে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬৩ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ রান করে আউট হন তালাত। শেষদিকে ২৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
লঙ্কানদের হয়ে ৫৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা।



