বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচন ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেট। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে ক্রিকেট অঙ্গনে। চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।
যার রেশ লেগেছে এখন ক্রিকেটারদের মাঝেও। সম্প্রতি নির্বাচন ইস্যুতে ‘নাক গলাতে’ শুরু করেছেন তারাও। এমনকি গতকাল ক্রিকেটারদের একটা অংশ একযোগে প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বর্তমান ক্রিকেটারদের অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে হুবহু একই লেখা পোস্ট করে বিসিবি নির্বাচন নিয়ে ঘটনা প্রবাহের প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
স্পষ্টই তিনি প্রশ্ন করেন, পৃথিবীর আর কোথাও ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন না ক্রিকেটাররা? তিনি মনে করেন এতে ক্রিকেটাররা তাদের চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আপনি পৃথিবীর কোথাও দেখবেন না কোনো ক্রিকেটার, বর্তমানে খেলা ক্রিকেটার বোর্ড ইলেকশন নিয়ে কথা বলছেন। যেটা তার যে কন্ট্রাক্ট, সেখানকার সম্পূর্ণ ভায়োলেশন।’
ক্রিকেটারদের নিয়ে দলাদলি বাংলাদেশে নতুন কিছু না বলে মনে করেন আসিফ। এর আগেও বিভিন্ন সময় ক্রিকেটারদেরকে এভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের স্বার্থে এমনটা করা উচিত নয় বলে মন্তব্য তার।
তিনি বলেন, ‘এই যে ক্রিকেটারদেরকে দিয়ে দলাদলি করানো, এটা খুব দুঃখজনক। যারা এগুলো করাচ্ছেন, তাদের আসলে লজ্জা করা উচিত। মানে এটা খুবই আমাদের জন্য দুঃখজনক।’
‘এটা তো স্পষ্ট, দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, বিসিবি নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে। যেখানে ৫ আগস্টের পর, সাকিব আল হাসান ও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার যে পরিণতি হয়েছে— ভক্তদের চাওয়া যে, খেলাটা রাজনীতির বাইরে থাকা উচিত।’
এই সময় ঠিক সময়ে নির্বাচন হবার আশ্বাস দিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ৫ আগস্টের পরে আগের নির্বাচিত বিসিবির প্রায় ১৫ জনকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা একটা ভঙ্গুর বিসিবি পেয়েছি।’
‘এই ভঙ্গুর বিসিবি দিয়েই কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে এক বছর নির্বাচনের সময় পর্যন্ত আমরা আসলাম। আমার মনে হয় যে একটা ফুল টিম কাজ না করলে ক্রিকেটের উন্নতি হওয়া সম্ভব না।’