পুরনো রীতি পালন করলেন লিটন দাস। এশিয়া কাপ শেষ হতেই সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রত্যাশা পূরণ না করতে পারায় দলের পক্ষ থেকে করলেন দুঃখ প্রকাশ।
অবশ্য এসব এখন নতুন কিছু নয়। স্থান-কাল আর টুর্নামেন্ট ভিন্ন হলেও আসর শেষে সেই একই চিত্র; ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা দুঃখ প্রকাশ। একইসাথে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস— এভাবেই চলে আসছে।
পাকিস্তানের কাছে হেরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ মিশন শেষ হয় বাংলাদেশের। খালি হাতে ফেরা নতুন কিছু নয়, তবে যেভাবে ফিরছেন ক্রিকেটাররা, তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নন দর্শক-সমর্থকেরা।
সুপার ফোরে অন্তত পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা তারা খুব করেই আশা করেছিল। বোলাররা সেই স্বপ্ন আরো রঙিন করে তোলেন সালমান আগাদের ১৩৫ রানেই আটকে দিয়ে। তাতে উন্মোচিত হয় ফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও।
তবে সেখান থেকে হতাশ করেছেন ব্যাটাররা। আরো একবার দলক ডুবিয়েছেন তারা। অবিশ্বাস্যভাবে ১১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংস থামে ১২৪ রানে। হারের ধরন অবাক করে প্রতিপক্ষকেও!
এমন হারের পর বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দর্শক-সমর্থকেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা নানাভাবে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করছেন দলকে। এমতাবস্থায় ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন লিটন দাস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি লিখেন, ‘২০২৫ এশিয়া কাপে দল হিসেবে আমরা সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা ও শিরোপা জেতা, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের সব অনুরাগী সমর্থকের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’
অবশ্য চোটের কারণে সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি লিটন। ওই দুই ম্যাচে নেতৃত্ব দেন জাকের আলি, তবে লিটনের অভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে মাঠে। যা অনুভব করেছেন লিটন দাস নিজেও। বলেন- ‘চোটের কারণে শেষ দুই ম্যাচ খেলতে না পারা ছিল হৃদয়ভাঙা অভিজ্ঞতা। একই কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খেলতে পারব না। সেরে ওঠার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। এই বেদনা দীর্ঘদিন মনে গেঁথে থাকবে।’
তবে সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদান শিগগিরই দিতে চান বলে জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। বলেন, ‘টুর্নামেন্টজুড়ে আপনাদের অবিশ্বাস্য সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। বিশ্বের সেরা সমর্থকরা আমাদের। আশা করি, আপনাদের যা প্রাপ্য, খুব দ্রুতই তা উপহার দিতে পারব।’