আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২১ রানেই আটকে গেল বাংলাদেশ

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বুধবার আবু ধাবিতে টসে জিতে ব্যাট করে বাংলাদেশ। তবে তিন মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
হৃদয়-মিরাজ জুটি ছাড়া বলার মতো স্কোর করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার
হৃদয়-মিরাজ জুটি ছাড়া বলার মতো স্কোর করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার |ক্রিকইনফো থেকে নেয়া ছবি

অনেকদিন পর ওয়ানডে খেলতে নেমে যেন সুরটা ধরতে পারছিল না বাংলাদেশ। ফলে পুরো ইনিংসটাই ছিল নড়বড়ে। তবে তাওহীদ হৃদয় আর মেহেদী মিরাজের শতরানের জুটি মান বাঁচিয়েছে দলের।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বুধবার আবু ধাবিতে টসে জিতে ব্যাট করে বাংলাদেশ। তবে তিন মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা, গুটিয়ে গেছে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে।

দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান। তবে অভিষিক্ত সাইফকে রেখে দ্রুতই ফেরেন তানজিদ তামিম। ৩.২ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে বেঁচে গেলেও ইনিংস বড় হয়নি, ১ বল পরই থামতে হয় তাকে।

আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে তামিম এবার ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে, ফিরেছেন ১০ বলে ১০ রান করে। এক ওভার পর এসে ফের উইকেট তুলে নেন ওমরজাই, এবার ফেরান নাজমুল হোসেন শান্তকে।

হাশমতুল্লাহ শাহিদিকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে ৫ বলে ২ রান নিয়ে ফেরেন সাবেক এই অধিনায়ক। ৬ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। এরপর সাইফ ও তাওহীদ হৃদয় মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেন।

তবে ভালো খেলতে খেলতে ফিরে যান সাইফ হাসানও। ওয়ানডে অভিষেকটা মনে রাখার মতো হয়নি এই ওপেনারের। নাঙ্গোলিয়া খারোতের শিকার হয়ে আউট হন ৩৭ বলে ২৬ রান নিয়ে।

সাইফ ফিরলে ১১.৫ ওভারে ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরই হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী মিরাজ। দুজনে গড়েন শতরানের জুটি। তাতে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠলেও কমে আসে রানের গতি।

২৫.১ ওভারে তিন অঙ্কে পৌঁছায় বাংলাদেশ। দেখেশুনে খেলতে খেলতে মিরাজ-হৃদয় দুজনেই পেয়ে যান ফিফটি। ৭৫ বলে দশম ওয়ানডে শতক তুলে নেন হৃদয় আর মিরাজ পঞ্চাশ করেন আরো এক বল কমে।

ফিফটি পূরণ করার পরপরই শতরানের জুটিও পূর্ণ করেন হৃদয়-মিরাজ। তবে এরপর জুটিটা আর বড় হয়নি, রান আউট হয়ে ফিরেছেন হৃদয়। ৮৫ বলে ৫৬ রান করে শেষ হয় তার ইনিংস।

তবে এরপর আরো কিছুক্ষণ লড়াই করেন মিরাজ। তবে বেশিদূর যেত্র পারেননি, ৩৮.৫ ওভারে ৮৭ বলে ৬০ করে রশিদ খানের শিকার হন বাংলাদেশ দলপতি। এরপর রশিদ দ্রুত আরো কিছু উইকেট তুলে নেন।

৪০.৪ ওভারে জাকের আলিকে (১০) ও ৪৪.২ ওভারে নুরুল হাসান সোহানকেও ফেরান রশিদ খান। সোহান আউট হন ১৪ বলে মাত্র ৭ রানে। ১৯৫ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর তানজিম সাকিবের ২৩ বলে ১৭ ও তানভীর ইসলামের ৮ বলে ১১ রানে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ পর্যন্ত পৌঁছায় টাইগারদের ইনিংস। রশিদ খান ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই নেন তিনটি করে উইকেট।