ভুল শুধরে যদিও ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ, তবে আগের দুই ম্যাচের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে টাইগারদের। আফগানদের হারিয়েও অস্বস্তিতে বাংলাদেশ, এখনো ভাগ্য দোদুল্যমান। আটকে গেছে সমীকরণের মারপ্যাঁচে।
গ্রুপ অব ডেথে থাকায় কাজটা এমনিতেই কঠিন ছিল। তার ওপর সুযোগ থাকলেও হংকংয়ের সাথে হেসেখেলে জয় আসেনি, বাড়িয়ে নিতে পারেনি রানরেট। আর শ্রীলঙ্কার সাথে তো হেরেছে বাজেভাবেই।
আর আবুধাবিতে আফগানিস্তানের সাথে মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে জয় এসেছে মাত্র ৮ রানে। বড় জয়ের অভাবে সব নেট রানরেটেও তাই অনেকটা পিছিয়ে লিটন দাসরা। শেষ চারে উঠতে তাই বাড়ছে অপেক্ষা।
অপেক্ষাটা আফগানিস্তানের হারের। শ্রীলঙ্কা যদি বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানকে হারায়, তাহলে বাংলাদেশকে আর কোনো অঙ্ক কষতে হবে না। সরাসরি উঠে যাবে সুপার ফোরে।
আর যদি আফগানিস্তান জেতে, তাহলে ওদের সেই জয়টা যেন হয় একটু বড় ব্যবধানে। বাংলাদেশের চাওয়া এটাই। অন্যথায় খুব কাছে গিয়েও ধরতে হতে পারে দেশের বিমান। বিফলে যাবে চেষ্টা।
এই সমস্যাটা হয়েছে মূলত রানরেটের কারণে। রানরেটে আফগানিস্তান (২.১৫০), শ্রীলঙ্কার (১.৫৪৬) থেকে বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ (-০.২৭০)।
ফলে শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানের সাথে জয় পেলে তাদের পয়েন্ট হবে ৬ পয়েন্ট। এদিকে বাংলাদেশের পয়েন্ট আছে ৪। সেক্ষেত্রে টাইগাররা শ্রীলঙ্কার সাথে সুপার ফোর খেলবে। ২ পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়বে আফগানিস্তান।
তবে আফগানিস্তান লঙ্কানদের সাথে যেকোনো ব্যবধানে জিতলেই বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সমান তাদেরও ৪ পয়েন্ট হয়ে যাবে। রানরেটে এগিয়ে থাকায় সুপার ফোরে যাবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাদ পড়বে বাংলাদেশ।
আরেকটা সমীকরণ আছে। আফগানিস্তান অনেক বড় ব্যবধানে জিতে যায় আর যদি লঙ্কানদের নেট রানরেট বাংলাদেশের নিচে চলে যায়, তবে টাইগাররা সুপার ফোরে উঠবে। বাদ পড়বে শ্রীলঙ্কা।
তবে সেই সমীকরণ অনেক কঠিন। কেননা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার থেকে রানরেটে অনেক পিছিয়ে। শ্রীলঙ্কা ৭০ রানের বড় ব্যবধানে হারলেই কেবল সম্ভব এই সমীকরণ মেলানো।