অপেক্ষা ছিল মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির, খুব কাছে পৌঁছেও সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। ৮৭ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। একই সাথে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশও। ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে থামে স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে ২১১ রানের লিড পাওয়ায় বাংলাদেশের পুঁজি দাঁড়ায় ৫০৮ রান। টেস্ট ইতিহাসে এত রান তাড়া করে আগে জেতেনি কখনো কোনো দল। অর্থাৎ জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হবে আইরিশদের।
চতুর্থ দিনের শুরুটা মনপুত হয়নি বাংলাদেশের। ৬৯ রান নিয়ে শনিবার মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিলেন সাদমান ইসলাম। তবে সাজানো ইনিংসটাকে শতকে রূপ দিতে পারেননি।
নতুন দিনে সাদমাম যোগ করেন মাত্র ৯ রান। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের শিকার হয়ে ১১৯ বলে ৭৮ রানে শেষ হয়েছে তার ইনিংস। দ্রুত ফিরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও (১)।
১ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে নতুন দিনে ১৮ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে এরপর হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। রানের গতি ধরে রেখেই স্পর্শ করেন শতরানের জুটি।
টানা তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল হক। এরপর মধ্যাহ্নভোজে যায় বাংলাদেশ। ফিরে এসে শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এবার ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। তবে মুমিনুলের সেঞ্চুরির জন্য ছিল অপেক্ষা।
সেই অপেক্ষা ফুরায়নি। ১১৮ বলে ৮৭ রান করে আউট হন তিনি। তিনি ফিরতেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে তখন ৫৩ রানে অপরাজিত মুশফিক। তবে ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন ততক্ষণে।
শততম টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি ও ফিফটি করা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার মুশফিক। এর আগে শুধু রিকি পন্টিংয়ের ছিল এই কীর্তি। তিনি দুই ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি।
এর আগে, মিরপুর টেস্টে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। বিপরীতে ২৬৫ রানে শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। ৪ উইকেট নেন তাইজুল।
২১১ রানের লিড পেলেও আইরিশদের ফলোঅন করায়নি টাইগাররা। নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নামে।



