সুপার ফোরে ওঠার আশা অনেকটাই মিইয়ে গেল বাংলাদেশের। সম্ভাবনা এখন শঙ্কুচিত। অবিশ্বাস্য কিছু না হলে হয়তো এশিয়া কাপ থেকে আজই বিদায়ঘণ্টা বাজছে টাইগারদের।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে এমনিতেই বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিয়েছিল আফগানিস্তান। তবুও নুয়ান থুসারার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৮ ওভার পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিকই ছিলো। তবে এরপরই বাঁধে বিপত্তি।
১৯তম ওভারে ১৭ রান তোলার পর শেষ ওভারে মোহাম্মদ নাবি ৫ ছক্কায় করেন ৩২ রান! অর্থাৎ শেষ দুই ওভারে ৪৯ রান করে আফগানরা। তাতে তাদের পুঁজি গিয়ে ঠেকেছে ১৬৯ রানে।
এতো রান তারা করে এবারের আসরে জেতেনি কোনো দল। তা ছাড়া আফগান বোলাররা সহজেই তা হতে দেবেন না অনেকটাই অনুমেয়। ফলে সব মিলিয়ে এখন বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠা অসম্ভব বলা যায়।
এই ম্যাচের ওপর বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করছে আগেই জানা ছিল। শ্রীলঙ্কা আফগানদের হারালেই সুপার ফোর নিশ্চিত হতো। আফগানরা বড় পুঁজি গড়ায় যা পেরোনো কষ্টই হবে লঙ্কানদের।
আফগানরা হারলে যেমন সুযোগ আছে বাংলাদেশের, তেমনি শ্রীলঙ্কা হারলেও সুযোগ আছে। তবে লঙ্কানদের আটকে দিতে হবে ১০০ রানের আগেই। তবেই কেবল সম্ভব টাইগারদের সুপার ফোর।
অবশ্য ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। ওপেনিং জুটি ভাঙে মাত্র ২৬ রানেই। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফেরেন ৮ বলে ১৪ রান করে, নুয়ান থুসারার শিকার হয়েছে। একই ওভারে ফেরান করিম জানাতকেও।
নিজের তৃতীয় ওভারে এসে থুসারা আউট করেছেন আরেক ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতালকেও (১৮)। ফলে ৪০ রানেই আফগানরা হারায় ৩ উইকেট। পাওয়ার প্লে শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪৫।
আফগানিস্তান ১২.১ ওভারে দলীয় ৭৯ রানের মাঝে আরো ৩ উইকেট হারায়। দরবেশ রাসুলিকে (৯) আউট করেন দুশমান্থ চামিরা। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকেও (৬) থিতু হতে দেননি দাসুন শানাকা।
একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট গেলেও অন্যপ্রান্তে স্নায়ুচাপ ধরে রেখে খেলছিলেন ইব্রাহীম জাদরান। তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। দুনিথ ভেল্লালেগের শিকার হোন ২৭ বলে ২৪ করে
এক শ’র আগে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় আফগানিস্তান। তবে সপ্তম উইকেটে ৩০ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান। এই জুটিও ভাঙেন থুসারা, রশিদ ফেরেন ২৩ বলে ২৪ করে।
১৭.১ ওভারে ১১৪ রানে ৭ উইকেট হারায় আফগানরা। ১৮ ওভার শেষে স্কোর ছিল ১২০। তবে ১৯ ওভারে চামিরা থেকে ১৭ ও শেষ ওভারে ভেল্লালেগের থেকে ৩২ রান নেন মোহাম্মদ নাবি।
মাত্র ২০ বলে তিনি স্পর্শ করেন ফিফটি। যা আফগানিস্তানের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম। শেষ বলে রান আউট হবার আগে তার ব্যাটে আসে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ২২ বলে ৬০ রান! এখানেই ঘুরে যায় খেলা।
নুয়ান থুসারা ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন। তবে চামিরা ১ উইকেট নিতে দেন ৫০রান, ভেল্লালেগে দেন ৪৯।