বড়রা পারেননি, তবে ভুল করেননি ছোটরা; ঠিকই পুনরুদ্ধার করেছেন এশিয়া কাপ শিরোপা। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের নয়া চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানি যুবারা। ১৩ বছর পর এই শিরোপা জিতলো তারা।
দুবাইয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে রোববার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। দাপুটে পারফরম্যান্সে ভারতকে ১৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন সামির মিনহাসরা।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার শিরোপার স্বাদ পেল পাকিস্তান। ২০১২ আসরের ফাইনাল টাই হলে সেবার ভারতের সাথে ট্রফি ভাগাভাগি করেছিল পাকিস্তান। তবে এবার এককভাবেই মেতেছে শিরোপা উল্লাসে।
জয়ের নায়ক সামির মিনহাস। তার রেকর্ড গড়া ১১৩ বলে ১৭২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৪৭ রানেট সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ২৬.২ ওভারে ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।
আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে হামজা জহুর-সামির মিনহাসের উদ্বোধনী জুটি বড় হয়নি। চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩১ রানে জহুরের উইকেট হারায় পাকিস্তান। হামজা আউট হন ১৮ রান করে।
এরপর উসমান খানকে নিয়ে ৯২ রানের জুটি গড়েন মিনহাস। ব্যাক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি করেন মাত্র ২৯ বলে। উসমান ৩৫ রান করে আউট হন। তবে তৃতীয় উইকেটে আহমেদ হুসেইনকে নিয়ে গড়েন ১৩৭ রানের জুটি।
৭১ বলে সেঞ্চুরি করেন মিনহাস। হুসেইন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬৯ বলে। পরের ওভারে ৫৬ রান করে আয়ুশ মাত্রের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। অন্যদিকে মিনসাস সেঞ্চুরি করার পরও থামেননি। ১০৫ বলে করেন দেড় শ’।
ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির পথেই। তবে ৪২.৫ ওভারে মিনহাস ফেরেন ১৭২ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ১৭টি চার, ৯টি ছক্কা। এরপর আর কেউ তেমন ভালো করেননি, অধিনায়ক ফারহান ইউসুফ করেন ১৯ রান।
মিনহাসের আউটের পর শেষ সাত ওভারে ৫০ রানও তুলতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৩৪৭ রান করে তারা। ভারতের হয়ে দীপেষ দীপেন্দরন নেন ৩ উইকেট।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় ওভার থেকেই ছন্দপতন শুরু হয় ভারতের। অধিনায়ক আয়ুশ মহত্রী (২) ও পরের ওভারে মোহাম্মদ সায়েমের (৯ বলে ১৬ রান) উইকেট হারায় ভারত।
পঞ্চম ওভারে হামজা জহুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বৈভব সূর্যবংশী (১০ বলে ২৬ রান)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। পাওয়ার প্লে-তে আরো দুই উইকেট হারায় দলটি।
প্রথম ১০ ওভারে ৭০ রানের মাঝেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে ভারত। আর দলীয় ৯৪ রানে সপ্তম উইকেটের পতন হয় ভারতের। এরপর অপেক্ষা ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।
পাকিস্তানের হয়ে আলী রেজা ৪টি, মোহাম্মদ সায়েম, আব্দুল সোবহান ও হুজাইফা আহসান দুটি করে উইকেট নেন।



