দ্বিতীয় দিন শেষেই মিরপুর টেস্টে চালকের আসনে বসে গেছে বাংলাদেশ। চেপে ধরেছে আইরিশদের। রান তিন অঙ্ক পেরোনোর আগেই ব্যাটিং অর্ডারের লেঁজ বেরিয়ে এসেছে তাদের। ভেঙে গেছে ইনিংসের মেরুদণ্ড।
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৪১.১ ওভারে ৪৭৬ রানে। বিপরীতে ৩৮ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৯৮ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে আছে আইরিশরা।
দিনের শুরুটা হয় মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি দিয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই আসে সেই কাঙ্ক্ষি মুহূর্ত। ঘোচান ১ রানের আক্ষেপ। বিশ্বের এগারোতম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি।
বৃহস্পতিবার দিনের প্রথম ওভার দেখেশুনে খেলার পর জর্ডান নেইলের ওভারে সিংগেল নিয়ে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। যা তার ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের সাথে বাংলাদেশের হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ শতক।
তবে এরপর আর ইনিংস বড় হয়নি, ২১৪ বল খেলে ১০৬ রান করে এন্ড্রু বালবির্নির শিকার হন তিনি। ভাঙে লিটন দাসের সাথে তার ১০৮ রানের জুটি। মুশফিক ফিরলেও অবশ্য লিটন তার ইনিংসটা বড় করেন।
প্রথম দিন শেষ করেছিলেন ৪৭ রান নিয়ে, দ্বিতীয় দিনে ফিফটি তুলে নিতে দেরি করেননি লিটন দাস। এরপর গতি ধরে রেখে টেস্টে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি, ১৫৮ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান লিটন।
১ বছর পর সাদা পোশাকে সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। টেস্টে লিটন শেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০২৪ সালের আগস্টে, পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের মাটিতে। ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সেবার।
আজ লিটন খেলেন ১২৮ রানের ইনিংস। আউট হবার আগে মেহেদী মিরাজের সাথে গড়েন ১৯০ বলে ১২৩ রানের জুটি। লিটনের ৩ বল আগেই অবশ্য ফেরেন মিরাজ, আউট হন ৪৭ রান করে। পরপর তাদের বিদায়ে চাপ বাড়ে।
এরপর তাইজুল ইসলাম (৪) ও হাসান মুরাদ (১১) ও খালেদ আহমেদ আউট হন ১১ রান করে। ইবাদত হোসেন অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে। আইরিশদের হয়ে এন্ডি ম্যাকব্রিনে ৬ এবং ম্যাথু হ্যামফ্রিজ ও গ্যাভিন হোয়ে নেন ২টি করে উইকেট।
এরপর ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে এন্ড্রু বালবির্নি ও পল স্টার্লিং মিলে অবশ্য ৪১ রান যোগ করে ফেলেন। ২৬ বলে ২৭ করে স্টার্লিং ফিরলে ভাঙে জুটি।
এরপর দলীয় ৬৩ রানে বালবির্নি হাসান মুরাদের শিকার জন ২১ রান করে। এছাড়া কার্টিস ক্যাম্ফারকেও রানের খাতা খুলতে দেননি মুরাদ। ক্যাড কারমিকেল ১৭ রান করে মেহেদী মিরাজের শিকার হন।
দিনের শেষভাগে এসে তাইজুল ইসলাম ফেরান হ্যারি টেক্টরকে (১৪)। তাতে ৯৪ রানে ৫ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এরপর তারা দিনশেষ হবার আগে যুক্ত করে আর ৪ রান। লরকান টাকার ১১ রানে অপরাজিত আছেন।



