গুঞ্জন আগে থেকেই ছিল, এবার এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তামিম ইকবাল, নজর আছে সভাপতি পদেও। ইতোমধ্যে কাউন্সিলরও হয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগের পর থেকেই খবর রটেছিল তামিম ইকবালের বোর্ডে আসার। এরপর যদিও ফারুক আহমেদ আসেন দায়িত্বে, তবে তামিম ছিলেন পুরোটা সময়েই আলোচনায়।
মাঝে খানিকটা আড়ালে চলে গেলেও আসন্ন ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচন ঘিরে ফের আলোচনায় তিনি। যদিও এতদিন বিষয়টা সেভাবে খোলাসা করেননি। তবে এবার জানিয়েছেন ‘প্রস্তুত তিনি।’
অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। প্রথমে বিসিবির পরিচালক হতে চান তামিম, এরপর সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন।
দেশের প্রথম সারির এক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। একই বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজও।
যেখানে তামিম বলেন, ‘কেউ আগেভাগে বলতে পারে না যে তিনি সভাপতি হবেন। আমি নিজেও অনেক কিছু দেখি ও শুনি। কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো আমি বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেব কি না। যদি কোয়াবের কথা বলি, সেখানে সরাসরি সভাপতি পদে ভোট হয়। কিন্তু বিসিবি আলাদা। এখানে প্রথমে পরিচালক হতে হয়।’
‘তবে যদি প্রশ্ন করেন আমি নির্বাচনে আসছি কি না, বলব খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। আমি নির্বাচন করছি। আমি ক্রিকেটে বিনিয়োগ করেছি, দু’টি ক্লাবের সাথে জড়িত আছি। ফলে কাউন্সিলর তো আমি হবোই।’
নিজের জন্য নয়, দেশের ক্রিকেটের জন্য কিছু করতেই নির্বাচনে আসতে চান বলে জানিয়েছেন তামিম। বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কিছু করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসতে হবে।’
‘আমার বিশ্বাস, যদি আমি বোর্ডে আসি তবে আমার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকবে। এখনই বলা বোকামি হবে যে আমি সভাপতি হতে চাই। যদি দেখি পর্যাপ্ত সমর্থন আছে, তখন বিবেচনা করব।’
তামিম মনে করেন, এমন প্রার্থী বেছে নেয়ার সময় এসেছে, যারা সত্যিই দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘সবাই বলে ক্রিকেটে রাজনীতি থাকা উচিত নয়। কিন্তু আসলে কী হচ্ছে? একে অপরকে আক্রমণ, গুজব ছড়ানো, এসবই চলছে।’
‘অথচ আসল আলোচনা হচ্ছে না, কে ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী। অনেকেই পরিচালক হতে চান, কিন্তু আসল মনোযোগ দেয়া উচিত কারা আসলেই যোগ্য।’ যোগ করেন তামিম ইকবাল।
আলোচনায় তামিম ইকবাল ক্রিকেটকে আরো আধুনিকায়ন করার তাগিদ দেন, সে জন্য বোর্ডে আধুনিক চিন্তাভাবনা সম্পন্ন দায়িত্বশীল নির্বাচন করতে বলেন।
তামিম বলেন, ‘সবার কথায় একটা জিনিস থাকে যে বাংলাদেশকে আধুনিককালের ক্রিকেট খেলতে হবে। সে রকম ক্রিকেট খেলতে হলে পরিচালক যারা হবেন, তাদের চিন্তাভাবনাও তো আধুনিক হতে হবে।’
‘এ রকম তো নয় যে ক্রিকেটাররাই শুধু আধুনিক খেলা খেলবে। যারা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাদের চিন্তাধারা ৩০ বছর আগের হলে সমস্যা। তাদেরও আধুনিক হতে হবে। এই আধুনিকতা কে নিয়ে আসতে পারবেন, তাকে নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।’