আরব আমিরাতের বিপক্ষেও দুর্দশা কাটলো না পাকিস্তানের। ব্যাট হাতে পারেনি বলার মতো কিছু করতে। ফখর জামানের ফিফটির পর, শাহিন আফ্রিদির ঝড়—তবুও দেড় শ' স্পর্শ করেনি স্কোর।
দুই দলের লড়াইটা বাঁচা-মরার। যে জিতবে সেই নিশ্চিত করবে শেষ চার। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ৯ উইকেটে তুলেছে ১৪৬ রান। শেষ ২ ওভারেই আসে ২৮ রান।
পাকিস্তান-আরব আমিরাত ম্যাচ নিয়ে আলোচনার কমতি ছিল না। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের অপসারণ চেয়ে ম্যাচ বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পাকিস্তান। তবে আইসিসিও ছিল অনড়।
ফলে পাকিস্তান দল মাঠেই আসেনি নির্ধারিত সময়ে। ফলে খেলা মাঠে গড়ানো নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। পরবর্তীতে পাইক্রফট পাকিস্তান দলের কাছে ক্ষমা চাইলে, কাটে সব সংশয়।
সব সমাধানের পর খেলা মাঠে গড়ায় নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর। যেখানে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় স্বাগতিকেরা। দুবাইয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের।
২.৪ ওভারে ৯ রানে হারায় দুই ওপেনারকেই। এরপর সালমান আলি আগা ও ফখর জামান মিলে গড়েন ৬১ রানের জুটি। ১১ ওভার শেষে সালমান ফেরেন ২৭ বলে ২০ করে। তবে ফিফটি তুলে নেন ফখর।
১৩.১ ওভারে দলীয় ৮৬ রানে ফেরেন তিনি, আউট হন ৩৬ বলে ৫০ করে। সেখান থেকে ১৬.৫ ওভারে ১১০ রানে ৭ উইকেট হারায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ হারিস (১৮) ছাড়া আর কেউ রান পাননি।
একটা সময় বলের সমান রান হবার আগেই দেখা দেয় গুটিয়ে যাবার শঙ্কা। তবে শেষ দিকে ১৪ বলে অপরাজিত ২৯ রান করে শাহিন আফ্রিদি মান বাঁচান পাকিস্তানের। জুনায়েদ সিদ্দিকি ৪ ও ৩ উইকেট নেন সিমরান জিৎ।