সপ্তাহ ঘুরতেই সেরা দশ থেকে বেরিয়ে গেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। চার বছর পর টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে ফিরলেও, জায়গা ধরে রাখা হলো না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দু’ টি-টোয়েন্টিতে দারুণ পারফর্ম করে র্যাঙ্কিংয়ের নয় নম্বরে উঠে এসেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে শেষ ম্যাচে তাকে ছাড়াই মাঠে নামে দল। র্যাঙ্কিংয়েও পড়েছে যার প্রভাব।
আবারো সেরা দশের বাইরে চলে গেছেন তিনি। তিন ধাপ পিছিয়ে ৬৪৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছেন মোস্তাফিজ। শেখ মেহেদী এক ধাপ পিছিয়ে ১৭ নম্বরে নেমে গেছেন।
একই চিত্র তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিবেরও। এক ধাপ করে পিছিয়ে তাসকিন ২৮ ও তানজিম আছেন ৩৮ নম্বরে। তবে শেষ ম্যাচে না খেললেও আগের মতোই ২০ নম্বরেই আছেন রিশাদ হোসেন।
ব্যাটারদের মাঝেও পড়েছে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভালো না করার প্রভাব। কয়েকজনের অবনতি হয়েছে। তানজিদ তামিম পাঁচ ধাপ পিছিয়ে নেমেছেন ৪২ নম্বরে। লিটন দাস একধাপ পিছিয়ে আছেন ৪৬-এ।
৫৪৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৩৯ নম্বরে আছেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশের মাঝে তিনিই সেরা অবস্থানে।
এদিকে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ও অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রভাবও পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বড় কিছু পরিবর্তন এসেছে।
ভারতের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে এখন অভিষেক শর্মা। বিরাট কোহলি আর সূর্যকুমার যাদবের পর এই কীর্তি গড়লেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে গত বিশ্বকাপের পর থেকে শীর্ষে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। কিন্তু সাম্প্রতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে না খেলায় এক ধাপ পিছিয়ে দুইয়ে নেমে গেছেন হেড।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সেরা খেলোয়াড় ক্যামেরন গ্রিন একলাফে ৬৪ ধাপ এগিয়ে পৌঁছেছেন ২৪ নম্বরে। আর বোলারদের মাঝে নাথান এলিস ও জশ ইংলিশ দু’জনেই উঠে এসেছেন নয় নম্বরে।
টেস্ট ব্যাটারদের মাঝে শীর্ষস্থান আরো সুসংহত করেছেন জো রুট। রেটিং তুলে এনেছেন ৯০৪-এ। পাঁচ ধাপ এগিয়ে শীর্ষ দশে ঢুকে পড়েছেন বেন ডাকেট (১০) ও রিশাভ পান্ত উঠে এসেছেন সাত নম্বরে।
টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ উন্নতি করে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। তবে শীর্ষস্থান এখনো ভারতের রবীন্দ্র জাদেজার দখলে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের মেহেদী মিরাজ।