ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে চেষ্টার কমতি রাখছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বড় পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। যেমন বাড়ছে ভেন্যু, তেমনি বেড়েছে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট এনসিএল টি-টোয়েন্টি আসর। এর মাঝে ভেন্যুও অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। খেলা নেই ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
এবারের এনসিএল গড়াবে তিন ভেন্যুতে, সিলেট, বগুড়া আর রাজশাহীতে। সিলেটে হতে পারে দিবারাত্রির ম্যাচও। সব মিলিয়ে এনসিএলকে আরো জমজমাট করে তুলতে চাইছে বিসিবি।
টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমের সাথে আলাপে ভেন্যুর পাশাপাশি উইকেট ও খেলোয়াড়দের আর্থিক বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন।
আকরাম বলেন, ‘ভেন্যু পাওয়াটা আসলে কঠিন ছিল। একই জায়গায় দুইটা মাঠ দরকার। অনেক চিন্তাভাবনা করে আমরা এখন সেটা চিন্তা করেছি বগুড়া, রাজশাহী এবং সিলেট; এই তিনটা জায়গায় আমরা করব।’
‘সিলেটে আমাদের দিবারাত্রির (ম্যাচ) একটা পরিকল্পনা আছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল আমরা দিবারাত্রির করব, সেটার জন্যই সিলেটে আমরা পরিকল্পনা করেছি।’
ভালো উইকেটে খেলা আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আকরাম বলেন, ‘অবশ্যই ভালো উইকেটে খেলাতে চাই। টি-টোয়েন্টিতে যেন রান হয় ওই জিনিসটা আমাদের মাথায় আছে।’
এদিকে আকরাম খানের বক্তব্য বিশ্লেষণ করেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম। একসাথে দুই মাঠ একসাথে পাবার প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ‘৮ দলের এ আসর প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ আয়োজন করা ছাড়া আসর চালানো সম্ভব না। আর এক ভেন্যুতে প্রতিদিন দুটি করে খেলা আয়োজন করলে সেই উইকেটের ওপর চাপ পড়বে বেশি। উইকেট দিনকে দিন খারাপ হতে থাকবে।’
‘অল্প কদিনেই পিচের মান খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমরা চাচ্ছি যে, একটি ভেন্যুতে ক্রমাগত খেলা না চালিয়ে আমরা এমনভাবে ভেন্যু নির্ধারণ করেছি যেন এক মাঠে প্রতিদিন একটির বেশি খেলা চালাতে না হয়। তাই আমরা ভেন্যু হিসেবে রাজশাহী-বগুড়া আর সিলেটকে বেছে নিয়েছি।’
‘সিলেট পর্বে প্রতিদিন দুটি করে খেলা চালানো যাবে। কারণ সিলেট স্টেডিয়ামের ঠিক বাইরে সিলেট আউটার স্টেডিয়ামও একদম খেলা উপযোগী অবস্থায় আছে। কাজেই সেখানে একসঙ্গে প্রতিদিন দুটি করে না হয় একটি দুপুরে অন্যটি সন্ধ্যায় ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর অঙ্গীকারও শোনা গেল আকরাম খানের কণ্ঠে। বলেন, ‘আমরা ভালো দিতে যাচ্ছি। আপনারা জানেন, গতবার ওদের ম্যাচ ফি ছিল ২৫ হাজার। সেটা আমরা এবার ৪০ হাজার করেছি। পাশাপাশি অন্য সুযোগ-সুবিধাও আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’