ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে আয়ারল্যান্ড দলের প্রাপ্তি বলতে মুশফিকুর রহিমকে প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করতে না দেয়া।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) মুশফিকের শতক আটকাতে বোলিংয়ে গড়িমসি থেকে সব ধরনের চেষ্টাই করেছে আইরিশরা।
ম্যাচটা শুরু থেকেই ছিল মুশফিকুর রহিমের, উপলক্ষ ছিল ‘শততম টেস্ট’। দারুণ এই উপলক্ষ রাঙিয়ে তুলেছেন তিনি, প্রথম দিনশেষে অপরাজিত আছেন ১৮৭ বলে ৯৯ রানে। আর মাত্র ১ রান করলেই গড়বেন ইতিহাস।
ইতিহাস প্রথম দিনেই গড়তে পারতেন তিনি, ছিল সম্ভাবনাও। তবে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড তা চায়নি। মুশফিকের সেঞ্চুরি আটকাতে সব ধরনের ফন্দিফিকিরই করেছে তারা। সময় নষ্ট করতে করেছে নানা টালবাহানা।
শেষ বল করার আগে প্রায় মিনিট দুয়েক ধরে আয়ারল্যান্ড নতুন করে সাজাতে শুরু করে ফিল্ডিং। ম্যাচের শেষ আধঘণ্টার বেশিভাগ সময়ই দৃশ্যটা দেখা যাচ্ছিল। নানা অজুহাতে সময় পার করছিল আইরিশরা।
এমনকি নির্ধারিত ৯০ ওভার শেষে মুশফিকের যখন ১ রান প্রয়োজন, তখন দিনের আলো বাকি থাকায় আম্পায়ারের কাছে ১ ওভার অতিরিক্ত খেলার আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। তবে তাতে রাজি হয়নি আইরিশরা।
এমতাবস্থায় দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুমিনুল হক একটু বিরক্তিই প্রকাশ করলেন। কেননা মুশফিকের এই কীর্তি অবলোকন করতে মিরপুরে চেয়েছিল গোটা দেশ। গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও বিসিবি কর্তারাও আগমন করেছিলেন মাঠে।
তবে তা হয়নি আইরিশদের আপত্তিতে। বিষয়টি নিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘দু’জন ব্যাটসম্যানের সামনেই মাইলফলক ছিল। অবশ্যই যে কেউ চাইবে একটু সময় করার জন্য। কিন্তু ওরা অনেক স্লো ছিল।’
আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা স্পিন বোলিং কোচ ক্রিস ব্রাউনের দাবি অবশ্য ভিন্ন, ‘আমার মনে হয় না এটা ইচ্ছেকৃত। আমরা ভিন্ন ফিল্ড সেট আপ সাজানোর চিন্তা করছিলাম।’
এদিকে বাড়তি এক ওভার না হওয়ায় সেঞ্চুরিটা পাওয়া হয়নি মুশফিকের। নাটকীয়তা রেখে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকেই শেষ করতে হয় দিন। তবে এ নিয়ে দলের খুব একটা চিন্তা নেই বলেই দাবি মুমিনুলের।
তিনি বলেন, ‘উনার সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি করার অভ্যাস আছে ৯০ এর ঘরে গিয়ে প্যানিক হয় না। অন্য কেউ হলে হয়তো প্যানিক থাকতাম। উনি যেহেতু আছে আমরা কেউ প্যানিক না। কালকে ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে।’
মুশফিকের পর বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫ টেস্ট খেলেছেন মুমিনুল। তার সামনেও হাতছানি আছে শততম টেস্ট খেলার। তবে সেসব ভাবনা সময়ের হাতেই তুলে রাখলেন মুমিনুল, ‘আমি কালকে বাঁচব কি না আমি জানি না। পরেরটা পরে দেখা যাবে।’