দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে প্রথম দেখায় হারতে হারতে বেঁচে যায় বাংলাদেশ, তবে এবার আর রক্ষা হলো না। হেরেই গেল জুনিয়র টাইগাররা। ত্রিদেশীয় সিরিজে এটিই প্রথম হার জাওয়াদ-তামিমদের।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তৃতীয় ম্যাচে এসে হারের মুখ দেখল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব ১৯ দল। এদিন হারারেতে প্রোটিয়া যুবাদের কাছে হেরেছে ৫ উইকেটে।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া বোলারদের দাপটে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৩.১ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা অনুর্ধ্ব ১৯ দল।
এদিন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার (৭) ও রিফাত বেগ (৯) ফিরেছেন শুরুতেই। তবে তিনে নামা অধিনায়ক তামিম করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। প্রোটিয়া বোলারদের দেখেশুনে খেলে তুলে নেন ফিফটি।
তবে এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ৮১ বলে ৫৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম। যা বাংলাদেশের ইনিংসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। চারে নামা রিজান করেন ১৭।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সামিউল, দেবাশীষদের কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে বাংলাদেশকে লড়াই করার সংগ্রহ এনে দেন কালাম সিদ্দিকী। ৬১ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন জেসন রয়েলস।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না প্রোটিয়াদের। শুরুতেই ওপেনার জোরিস ফন স্ক্যালিকের উইকেট হারায় তারা। তবে আরেক ওপেনার মুহাম্মেদ বুলবুলিয়া করেছেন দারুণ ব্যাটিং।
তবে ফিফটি হাতছাড়া করার হতাশা নিয়ে ফিরেছেন এই প্রোটিয়া ওপেনার। দেবাশীষ দেবার বলে আব্দুল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন ৪২ বলে ৩৯ রান করে। ভাঙে আরমান মানাকের সাথে ৫৭ রানের জুটি।
বুলবুলিয়া না পারলেও ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন আরমান মানাক। ৭৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। অধিনায়ক জেসন রয়েলসের সাথে গড়েন ৮১ বলে ৭২ রানের জুটি।
রয়েলসের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৯ বলে ৪১ রান। বাকি কাজটা সারেন ভিহান পেটোরিয়াস। ২২ বলে ২১ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ফাহাদ ২৯ রানে নেন ৩ উইকেট।