অনায়াসেই জয়ের বন্দরে পৌঁছাল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও নেদারল্যান্ডসকে পাত্তাই দেয়নি টাইগাররা। একইসাথে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে সিরিজ।
অবশ্য পাত্তা দেয়ার মতো কিছু করতে পারেনি ডাচরা। সিলেটে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ১৭.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৩ রানে। যা ৪১ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় টাইগাররা।
১০৩ রানের ছোট লক্ষ্য পেরোতে কেবল পারভেজ ইমনের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৩ চার ১ ছক্কায় ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি। তাতে ৫.৩ ওভারে ভাঙে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তবে আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম দেখেশুনেই খেলেছেন, ভুল করেননি। একদম জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন, তার আগে অবশ্য পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি।
তামিম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ বলে ৫৪ করে। তিনে নামা লিটন দাস ইনিংস শেষ করেন ১৮ বলে ১৮ করে। ১৩.১ ওভারেই নিশ্চিত হয় জয়। যা বলের ব্যবধানে টাইগারদের তৃতীয় সেরা জয়।
এর আগে অবশ্য ব্যাট হাতে দেখেশুনেই শুরুটা করেছিল নেদারল্যান্ডস। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আত্মবিশ্বাসী শুরু করে ডাচরা। তবে তৃতীয় ওভারেই বিপদ হয়ে দেখা দেন নাসুম আহমেদ।
প্রথম ম্যাচে একাদশে ছিলেন না নাসুম। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েই করেন বাজিমাত। নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে তুলে নেন জোড়া উইকেট। পরে অবশ্য পেয়েছেন আরো এক উইকেট।
নাসুমের প্রথম শিকার ম্যাক্স ওডাউড। ১০ বলে ৮ রান করে ক্যাচ দেন তাওহীদ হৃদয়কে। পরের বলে তেজা নিদামানুরুকে ফেরান তিনি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ০ রানে।
এরপর বিক্রমজিত সিং পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, তার দৌড় থামান তাসকিন আহমেদ। ১৭ বলে ২৪ করে ক্যাচ দেন তানজিম সাকিবের হাতে।
৫.৩ ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। পাওয়ার প্লে শেষ হবার আগে তারা যোগ করে আরো ৩ রান। সব মিলিয়ে ৬ ওভার শেষে তাদের স্কোর ৪০/৩। মাঠে তখন স্কট অ্যাডওয়ার্ড ও শাহরিজ আহমেদ।
তবে এই জুটিও স্থায়ী হয়নি। ১৮ বলে ১৮ রান যোগ হতেই আঘাত আনেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১১ বলে ৯ করে ফেরেন অ্যাডওয়ার্ড। শাহরিজকে (১২) ফেরান তানজিম সাকিব।
মাঝে সাইফ হাসানের দুর্দান্ত রান আউটে কাটা পড়েন নোহা ক্রস (২)। ৯.৫ ওভারে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় ডাচরা। আর ৪ রান যোগ হতেই ফের আঘাত মোস্তাফিজের, এবার শিকার জুলফিকার (২)।
এরপর কাইল ক্লেনকে (৪) ফেরান তাসকিন। আর নাসুম তার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন পল ভ্যান মিকিরেনকে (৩) ফিরিয়ে। ১৪.৩ ওভারে ৮১ রানে ৯ উইকেট হারায় ডাচরা।
তবে এরপর যখন গুটিয়ে যাবার শঙ্কা, তখন শেষ উইকেটে ২২ রান যোগ করেন আরিয়ান দত্ত ও ডেনিয়েল ডোরাম। যেখানে মূল ভূমিকা আরিয়ানেরই, সব মিলিয়ে ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
নাসুম ২১ রানে ৩, তাসকিন ২২ রানে ২ ও ১৮ রানে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।