প্রথম দুই ম্যাচে কিছুটা হলেও ছিলো প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ, তবে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে ছিলো না রোমাঞ্চের ছিটেফোঁটাও। হেসেখেলেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ, আইরিশদের উড়িয়ে দিয়েছে কোনো বিপত্তি ছাড়াই।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা, সিরিজে ফেরায় সমতা। ফলে শেষ ম্যাচটা রূপ নেয় অলিখিত ফাইনালে। যেখানে ৮ উইকেটের জয়ে শেষ হাসি স্বাগতিকদের।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আইরিশরা। তবে মোস্তাফিজ-রিশাদের গোছানো বোলিংয়ের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায়।
যা বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় অনায়াসেই। তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমনের ৫০ বলে ৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে যা ১৩.৪ ওভারেই পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফিফটি তুলে ৩৬ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম।
উদ্বোধনী জুটিতেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ, তবে সাইফ হাসান ৪র্থ ওভারের শেষ বলে (১৪ বলে ১৯) আউট হলে ভাঙে ৩৮ রানের জুটি। তিনে নেমে দ্রুত ফেরেন লিটন দাস (৭)। তবে আর বিপদ আসতে দেননি তামিম-ইমন।
তামিম ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ ও ইমন ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য উড়ন্ত সূচনা পায় আইরিশরা। তিন চারে প্রথম ওভারেই তুলে নেয় ১৩ রান। পরের দুই ওভারে দেখেশুনে খেললেও চতুর্থ ওভারে ফের শরিফুলের ওপর চড়াও হন টিম টেক্টর।
টানা দুই চার ও এক ছক্কা হাঁকান প্রথম ৫ বলে। তবে শেষ বলে টেক্টরকে বোল্ড করে দেন শরিফুল। ১০ বলে ১৭ রান করে ফিরে যেতে হয় টেক্টরকে। দলীয় ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় আইরিশরা।
দলীয় ৫০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ার বলে বোল্ড হন হ্যারি টেক্টর (৫)। পরের ওভারেই থিতু হবার আগে লরকান টাকারকে (১) ফেরান শেখ মেহেদী।
এরপর দৃশ্যপটে আসেন রিশাদ হোসেন। পরপর দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। ১০ম ওভারের শেষ বলে কার্টিস ক্যাম্ফারকে (৯) ফেরান রিশাদ, আর পরের ওভারে এসে শিকার করেন পল স্টার্লিংকে।
বাউন্ডারি মারতে গিয়ে মিড উইকেটে সাইফকে ক্যাচ দেন স্টার্লিং। তার লড়াকু ইনিংস শেষ হয় ২৭ বলে ৩৮ রান করে। ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। শেষ শিকার গ্রেথ ডিলানি (১০)।
রিশাদদের গোছানো বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তিন অঙ্কের ঘরে যেতেই ১৬.১ ওভার লেগেছে আইরিশদের। পরের ১০ রানে পতন হয় আরো দুই উইকেট, দুটোই নেন মোস্তাফিজ।
আর শেষ ২ উইকেট ভাগাভাগি করেন শরিফুল ইসলাম ও সাইফুদ্দীন। ১ বল বাকি থাকতেই শেষ হয় আইরিশদের ইনিংস। রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম নেন ৩টি করে উইকেট।



