যেভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান, শেষ পর্যন্ত সেভাবে টানতে পারেনি ইনিংস। তবে বড় পুঁজিই পেয়েছে সালমান আগার দল। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ভারতকে। এবার বল হাতে ভালো করলেই হয়।
আজ এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দুবাইয়ে টসে হেরে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান। যেখানে ৫ উইকেটে ১৭১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে তারা।
ব্যাট হাতে আজ সাহিবজাদা ফারহানের সাথে ওপেন করতে নামেন ফখর জামান। শুরুটাও করেন দারুণ। প্রথম ৮ বলেই নেন ১৫ রান। তবে এরপরই বাঁধে বিপত্তি, ২.৩ ওভারে ফিরতে হয় তাকে ‘ভুল’ আউট হয়ে।
হার্দিক পান্ডিয়ার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ফখর। ভারতের উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন ক্যাচ ঠিকভাবে নিয়েছেন নাকি বল তার গ্লাভসে জমা হওয়ার আগে মাটিতে পড়েছে, তা নিশ্চিত নয়।
বাংলাদেশী আম্পায়ার গাজী সোহেলও তাই আউট দেননি। সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয় টিভি আম্পায়ারকে। বেনেফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যান ফখরের দিকেই যাওয়ার কথা। কিন্তু ঘটে ভিন্ন ঘটনা, আউট হন ফখর।
অবশ্য ফখর ফিরলেও ভালোই খেলতে থাকে পাকিস্তান। আর কোনো উইকেট না হারিয়েই তুলে ১০ ওভারে ৯১ রান। যা ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ।
তবে এরপর পথ হারায় পাকিস্তান। ১০.৩ ওভারে ভাঙে ফারহান ও সাইম আইয়ুবের মধ্যকার ৪৯ বলে ৭৩ রানের জুটি৷ সাইমকে ১৭ বলে ২১ রানে ফেরান শিভাম দুবে। তবে ততক্ষণে ফিফটি তুলে নিয়েছেন ফারহান।
এদিকে সাইম ফেরার পর দ্রুত আরো ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। হুসেইন তালাত ১১ বলে ১০ ও ১৪.১ ওভারে ফারহান ফেরেন ৪৫ বলে ৫৮ করে। থিতু হওয়া ব্যাটারদের হারিয়ে তখন বিপাকে দল।
তবে মোহাম্মদ নাওয়াজ ও সালমান আগা ধরেন হাল। তবে রানের গতিটা আর ধরে রাখতে পারেননি৷ ১০ ওভারে ৯১/১ থেকে ১৮.৩ ওভারে স্কোরবোর্ড হয় ১৪৯/৫। অর্থাৎ পরের ৫১ বলে আসে মাত্র ৫৮ রান।
পাকিস্তানকে ১৭১ রানে পৌঁছান ফাহিম আশরাফ। ৮ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন তিনি। তা ছাড়া ১৩ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সালমান আগা। মাঝে ১৯ বলে ২১ করে আউট হন নাওয়াজ।
ভারতের হয়ে ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি বুমরাহ। ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন শিভাম দুবে।