সাকিবকে ছুঁয়ে ফেললেন লিটন দাস, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের সমান ১৩টি ফিফটি এখন তার। তাদের চেয়ে বেশি ফিফটি বাংলাদেশের আর কারো নেই।
অন্য একদিক থেকে লিটন ছাপিয়ে গেলেন সাবেক নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডারকেও। সাকিব ১২৯ ম্যাচ খেলে করেন ১৩ ফিফটি, লিটন যা পেরিয়ে গেলেন ১০৮ ম্যাচেই।
সিলেটে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৩তম ফিফটির দেখা পান লিটন। মাত্র ২৬ বলে স্পর্শ করেন এই মাইলফলক। তার এমন রেকর্ড গড়া ফিফটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে ফিফটির তালিকায় লিটন-সাকিবের পরে আছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৩০ ইনিংসে ৮টি ফিফটি করেছিলেন এরই মধ্যে অবসর নেয়া সাবেক এই অধিনায়ক।
সুতরাং লিটনের সামনে বড় সুযোগ তার কীর্তিকে আরো অনেকদূর এগিয়ে নেয়ার, সাকিবকে পেরিয়ে ধরাছোঁয়ার বাহিরে যাওয়ার। এখন খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫টি ফিফটি করেছেন, এমন কেউ নেই।
এদিকে এশিয়া কাপের আগে লিটনের এই ফিফটি বাংলাদেশের জন্য বড় পাওয়া। অধিনায়ক রানে থাকা মানে দলের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা। যেই অনুপ্রেরণা উদ্বুদ্ধ করবে গোটা দলকেই।
নেতৃত্বে থাকা লিটনের এমন পারফরম্যান্স দলের স্বস্তি তো বটেই, তাসকিন বলছেন এটা স্বস্তির সুবাতাস নিয়ে এসেছে পুরো দলের জন্যই।
বলেন- ‘লিটনের ভালো ছন্দে থাকা আমাদের দলের জন্য অনেক জরুরি। সম্প্রতি সে ফর্মে ফিরছে, ভালো ব্যাটিং করছে; নেটেও দেখছি।’
অথচ সময়টা ভালো যাচ্ছিল না লিটনের। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচে তার রান ছিল ছিল যথাক্রমে ১, ৮ ও ৮। তবে সেই ধাক্কা সামলেছেন ২৯ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে।
লিটন তার ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংসটিতে খেলেছেন চোখধাঁধানো সব শট! যার মধ্যে ছয়টি হয়েছে চার, দুটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ১৮৬.২০। কেন তাকে বলা হয় ক্রিকেটের মোনালিসা, তারই যেন উত্তর দিলেন।
এদিকে এই মুহূর্তে লিটন দাসের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রান সংখ্যা ২৩৪৬। আছেন বাংলাদেশীদের মাঝে তৃতীয় স্থানে। ২৫৫১ নিয়ে সবার উপরে সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহর রান ২৪৪৪।
সুতরাং লিটনের সামনে সুযোগ আছে তাদের সবাইকে ছাপিয়ে যাবার। অবশ্য লিটন একটা জায়গায় সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন, দেশকে টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন অধিনায়কদের (অন্ততঃ ১০ ম্যাচ) মাঝে লিটনের সফলতার হার বেশি।
১৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৯টিতে দলকে জয় এনে দিয়েছেন লিটন। সফলতার হার ৫২.৯৪। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুল হোসেন শান্ত, ২৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১০টিতে জয় পেয়েছিলেন তিনি। হার ৪১.৬৬।