আফগানদের বিপক্ষে জয়ের নায়ক নাসুম, টানা ২ ম্যাচে জিতলেন সেরার পুরস্কার

হংকং ও শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশ খেলেছে নাসুমকে ছাড়াই। তবে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সুযোগ হয় তার।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ সেরা হয়েছেন নাসুম আহমেদ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ সেরা হয়েছেন নাসুম আহমেদ |সংগৃহীত

এশিয়া কাপে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করলেন নাসুম আহমেদ। কিপটে বোলিংয়ে দলকে জেতালেন, এরপর নিজেও জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। একইসাথে গড়লেন দারুণ এক রেকর্ড।

নেদারল্যান্ডস সিরিজে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন নাসুম আহমেদ। সিরিজের শেষ ম্যাচটায় খেলতে নেমে শিকার করেন ২১ রানে ৩ উইকেট। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

তবে এরপর এশিয়া কাপে দলের সাথে থাকলেও আর মাঠে নামা হয়নি। হংকং ও শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশ খেলেছে নাসুমকে ছাড়াই। তবে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সুযোগ হয় তার।

সুযোগ পেয়েই নাসুম দেখালেন ঝলক। যেখানে শেষ করেছিলেন ডাচদের বিপক্ষে, আফগানদের বিপক্ষে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। একদম প্রথম বল থেকেই আঘাত হানলেন তিনি।

ইনিংসের প্রথম বলেই সেদিকউল্লাহ আতালকে ফেরানোর পর ওই ওভারে আর রান দেননি, এরপর নিজের তৃতীয় ওভারে ফেরান ইবরাহীম জাদরানকে। সব মিলিয়ে মাত্র ১১ রানে নেন ২ উইকেট।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৮ রানের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন নাসুম। ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ১১ রানে তিনি নিয়েছে ২ উইকেট।

তার স্পেলেই মূলত বাংলাদেশের দিকে ঘুরে গেছে খেলা। ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে আবুধাবিতে আফগানদের ১৪৬ রানে গুটিয়ে টাইগাররা। লিটন দাসদের জয় ৮ রানে।

এমন বোলিংয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন নাসুম। মাত্র ৩৯ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার পঞ্চম ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

বাংলাদেশের হয়ে নাসুমের চেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার রেকর্ড আছে শুধু মাত্র সাকিব আল হাসানের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১২৯ ম্যাচ খেলে ১২ বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার।

আর নাসুমের সমান ৫ বার ম্যান অব দা ম্যাচ হওয়ার রেকর্ড আছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন কুমার দাসের। তবে মাহমুদউল্লাহ ১৪১ ও লিটন ১১৩ ম্যাচ খেলেছেন।