যদিও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইনিংস হার এড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তবে দিল্লি টেস্টে বড় হারের পথেই আছে তারা। তবে এর মাঝেও স্বস্তির অনেক কিছুই আছে ক্যারিবীয়দের জন্য, আছে বড় প্রাপ্তি।
দিল্লিতে আগে ব্যাট করা ভারত ৫ উইকেটে ৫১৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথ ইনিংস শেষ হয় ২৪৮ রানে। ভারতের চেয়ে ২৭০ রানে পিছিয়ে পড়ে ফলো অনে পড়ে ক্যারিবীয়রা।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। তবে এরপর শাই হোপ ও জন ক্যাম্পবেল মিলে ১৩৮ রান যোগ করে তৃতীয় দিন শেষ করেন। ক্যাম্পবল ৮৭ রানে ও শাইহোপ ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
১৭৭ রানে ভাঙে এই জুটি। ২৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করে ক্যাম্পবেল ফেরেন ১৯৯ বলে ১১৫ রান করে। হোপও পেয়েছেন সেঞ্চুরি। টেস্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আউট হন ২১৪ বলে ১০৩ রান করে।
এছাড়া জাস্টিন গ্রিভস ৫০, রোস্টন চেজ করেন ৪০ রান। সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতেই শেষ হয়েছে অপেক্ষা, ১৬ ইনিংস পর টেস্টে ৩০০ বা তারচেয়ে বেশি রানের দেখা পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তাতে লিড ভেঙে ১২০ রানের পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা তাড়া করতে নেমে ভারত চতুর্থ দিনটা শেষ করেছে ১ উইকেটে ৬৩ রান তুলে। মঙ্গলবার শেষ দিনে জয়ের জন্য আর ৫৮ রান করতে হবে ভারতকে।
এদিকে ম্যাচ পঞ্চম দিনে গড়ানোয় দারুণ এক ইতিহাস গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাত ম্যাচ পর তাদের খেলা কোনো টেস্ট ম্যাচ পাঁচ দিনে গড়াল। আর ভারতের মাটিতে ১৫ বছর পর পঞ্চম দিনে গড়াল কোনো টেস্ট।