এখনি থামছেন না মুশফিক, আরো কিছুদিন থাকতে চান মাঠে

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক জানিয়েছেন, এক শ’ টেস্টেই থেমে থাকতে চান না তিনি। আরো কিছু টেস্ট খেলতে চান। ২১ বছরের ক্যারিয়ারের পরও তার কাছে এখনো টেস্ট খেলা মানে অভিষেক টেস্টের অনুভূতি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
নিজের শততম টেস্টে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হন মুশফিকুর রহিম
নিজের শততম টেস্টে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হন মুশফিকুর রহিম |সংগৃহীত

২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা অর্জন করে বাংলাদেশ। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ ২৫ বছরে পদার্পণ করেছে দলটা। প্রাপ্তি বলতে তেমন কিছুই নেই, আজ আয়ারল্যান্ডের সাথে জিতে জয়সংখ্যা হলো মাত্র ২৫টি।

টেস্টে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন আছে, তার মাঝে বিশেষ মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট। বিশ্বে শততম টেস্ট খেলার ঘটনা অহরহ ঘটলেও বাংলাদেশের হয়ে প্রথম এই কীর্তি গড়েছেন মুশফিক।

অভিষেকের ২০ বছর ৫ মাস ১২৪ দিনের মাথায় শততম টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। শততম টেস্ট খেলতে এর আগে এতো সময় লাগেনি আর কারো। অর্থাৎ এই কীর্তি গড়তে মাঠেই কেবল নয়, মাঠের বাহিরেও ধৈর্যের কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে মুশফিককে।

শততম টেস্টের উপলক্ষটা দারুণভাবে রাঙিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসেও খেলেন অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস।

শততম টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি ও ফিফটি করা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার মুশফিক। এর আগে শুধু রিকি পন্টিংয়ের ছিল এই কীর্তি। তিনি দুই ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি।

মুশফিকের এমন কীর্তিময় ব্যাটিংয়ে মিরপুর টেস্টে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশও। ২১৭ রানের এই জয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মুশফিকুর রহিম। দিয়েছেন এখনি না থামার আভাস।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক জানিয়েছেন, এক শ’ টেস্টেই থেমে থাকতে চান না তিনি। আরো কিছু টেস্ট খেলতে চান। ২১ বছরের ক্যারিয়ারের পরও তার কাছে এখনো টেস্ট খেলা মানে অভিষেক টেস্টের অনুভূতি।

মুশফিক বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে এই সুযোগ দেয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এতদিনে ১০০টা টেস্ট খেলেছি, সামনে আরো কয়েকটা খেলতে চাই। প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করি। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলার সৌভাগ্য সত্যিই বিশেষ। আজো মনে হচ্ছে যেন প্রথম ম্যাচটাই খেলছি। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়।’

বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিক চান তরুণরা তার কাছ থেকে শিখুক। সবাই মিলে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাক।

মুশফিক বলেন, আমি সত্যিই ভাগ্যবান! সতীর্থদের সাথে যা কিছু পারি, সব ভাগ করে নিতে পারছি। একসময় নিজেকে তরুণ খেলোয়াড় মনে হতো, কিন্তু এখন আর তা নেই; এখন আমি দলে সিনিয়র, আর তরুণদের পথ দেখানোই আমার দায়িত্ব। আমি নিশ্চিত, ওরা আমার কাছ থেকেও শিখবে, অন্যদের কাছ থেকেও শিখবে। আশা করি, সবাইকে নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরো এগিয়ে নিতে পারব।