কোনোরকমে তিন অঙ্কেই পৌঁছাতে পারলো বটে নেদারল্যান্ডস, তবে নাসুম-তাসকিনদের তোপে কোনো চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়তে পারেনি তারা। গুটিয়ে যাবার আগে ১৭.৩ ওভারে করে ১০৩ রান।
অবশ্য দেখে-শুনেই শুরুটা করেছিল নেদারল্যান্ডস। সোমবার সিলেটে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আত্মবিশ্বাসী শুরু করে ডাচরা। তবে তৃতীয় ওভারেই বিপদ হয়ে দেখা দেন নাসুম আহমেদ।
প্রথম ম্যাচে একাদশে ছিলেন না নাসুম। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েই করেন বাজিমাত। নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে তুলে নেন জোড়া উইকেট। পরে অবশ্য পেয়েছেন আরো এক উইকেট।
নাসুমের প্রথম শিকার ম্যাক্স ও’ডাউড। ১০ বলে ৮ রান করে ক্যাচ দেন তাওহীদ হৃদয়কে। পরের বলে তেজা নিদামানুরুকে ফেরান তিনি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ০ রানে।
এরপর বিক্রমজিত সিং পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, তার দৌড় থামান তাসকিন আহমেদ। ১৭ বলে ২৪ করে ক্যাচ দেন তানজিম সাকিবের হাতে।
৫.৩ ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। পাওয়ার প্লে শেষ হবার আগে তারা যোগ করেন আরো ৩ রান। সব মিলিয়ে ৬ ওভার শেষে তাদের স্কোর ৪০/৩। মাঠে তখন স্কট অ্যাডওয়ার্ড ও শাহরিজ আহমেদ।
তবে এই জুটিও স্থায়ী হয়নি। ১৮ বলে ১৮ রান যোগ হতেই আঘাত আনেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১১ বলে ৯ করে ফেরেন অ্যাডওয়ার্ড। শাহরিজকে (১২) ফেরান তানজিম সাকিব।
মাঝে সাইফ হাসানের দুর্দান্ত রান আউটে কাটা পড়েন নোহা ক্রস (২)। ৯.৫ ওভারে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় ডাচরা। আর ৪ রান যোগ হতেই ফের আঘাত মোস্তাফিজের, এবার শিকার জুলফিকার (২)।
এরপর কাইল ক্লেনকে (৪) ফেরান তাসকিন। আর নাসুম তার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন পল ভ্যান মিকিরেনকে (৩) ফিরিয়ে। ১৪.৩ ওভারে ৮১ রানে ৯ উইকেট হারায় ডাচরা।
তবে এরপর যখন গুটিয়ে যাবার শঙ্কা, তখন শেষ উইকেটে ২২ রান যোগ করেন আরিয়ান দত্ত ও ডেনিয়েল ডোরাম। যেখানে মূল ভূমিকা আরিয়ানেরই, সব মিলিয়ে ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।