মিরপুর টেস্টে জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিজয়ের হাসি হাসতে পঞ্চম দিনে কেবল ৪ উইকেট প্রয়োজন টাইগারদের। বিপরীতে আয়ারল্যান্ডের চাই এখনো ৩৩৩ রান।
৫০৯ রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলে শনিবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে আইরিশরা। তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদের স্পিন ঘূর্ণিতে নাজেহাল তারা।
পরপর দুই ওভারে এসে এন্ড্রু বালবির্নি (১৩) ও পল স্টার্লিংকে (৯) ফেরান তাইজুল। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর। কেডি কারমিকেলের সাথে গড়েন ৫১ রানের জুটি।
কার মিকেল ১৯ রানে ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন তিনি। তবে এরপর আর ইনিংস বড় হয়নি, হাসান মুরাদের শিকার হন সমান ৫০ রানে। দ্রুত ফেরেন লরকান টাকারও (৭)। স্কোর তখন ১২৭/৫।
কার্টিস ক্যাম্ফার স্টিফেন ডোহানিকে নিয়ে জুটি বড় করতে পারেননি। ৫২ বলে ১৫ রান করে তাইজুলের শিকার তিনি। ক্যাম্ফার ৩৪ ও এন্ডি ম্যাকব্রিনে ১১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছেন।
এর আগে চতুর্থ দিনের শুরুটা মনপুত হয়নি বাংলাদেশের। ৬৯ রান নিয়ে শনিবার মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিলেন সাদমান ইসলাম। তবে সাজানো ইনিংসটাকে শতকে রূপ দিতে পারেননি।
নতুন দিনে সাদমাম যোগ করেন মাত্র ৯ রান। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের শিকার হয়ে ১১৯ বলে ৭৮ রানে শেষ হয়েছে তার ইনিংস। দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও (১)।
১ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে নতুন দিনে ১৮ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে এরপর হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। রানের গতি ধরে রেখেই স্পর্শ করেন শতরানের জুটি।
টানা তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল হক। এরপর মধ্যাহ্নভোজে যায় বাংলাদেশ। ফিরে এসে শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এবার ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। তবে মুমিনুলের সেঞ্চুরির জন্য ছিল অপেক্ষা।
সেই অপেক্ষা ফুরায়নি। ১১৮ বলে ৮৭ রান করে আউট হন তিনি। তিনি ফিরতেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে তখন ৫৩ রানে অপরাজিত মুশফিক। দলের রান ৪ উইকেটে ২৯৭। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ পায় ৫০৮ রানের পুঁজি।



