আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার ধকল কাটিয়ে ওঠতে সময় লাগবে বেশ। তবে এসবের মাঝেই প্রস্তুতি চলছে বিপিএলের, প্রতিদিন আসছে নতুন নতুন খবর।
জানা গিয়েছিল, আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই বিপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিবি। নভেম্বরের মাঝামাঝি হবে বিপিএল ড্রাফট। এবার তার একটা সম্ভাব্য তারিখও জানালেন ইফতেখার রহমান মিঠু।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও জাতীয় নির্বাচন থাকায় বিপিএলের জন্য খুব বেশি সময় হাতে পাচ্ছে না ক্রিকেট বোর্ড। ফলে বিতর্ক মুক্ত থাকতে মাত্র পাঁচ দল নিয়েই বিপিএল করতে চায় তারা।
বিসিবির ওই পরিচালক বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা একটি মানসম্পন্ন বিপিএল আয়োজন করা, আগের ভুল করতে চাই না। আমরা আগে অনেককেই দল দিয়ে ভুগেছি, এবার এইটা চাই না।’
‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ১৬-১৮ নভেম্বরের ভেতর বিপিএল ড্রাফট আয়োজন করা। তার আগে আমরা দলগুলোকে ১৫ দিনের মতো সময় দিতে চাই সব গোছানোর জন্য। ৩০ তারিখের ভেতর আমরা দল চুড়ান্ত করে ফেলব।’
‘৫ দল না ৬ দল এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে চেষ্টা থাকবে ভালো কাউকে দল দেয়ার, তাতে ৫ দল হলেও সমস্যা নেই। আমাদের লক্ষ্য ডিসেম্বরের ২০ তারিখের ভেতর বিপিএল শুরু করা, যোগ করেন মিঠু।
মঙ্গলবার রাতেও মিটিং ছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের। সেখানে কয়টি দল খেলবে বা কোন কোন দল অংশ নেবে- সেটি এখনো চূড়ান্ত না হলেও মালিকানা ও ফ্র্যাঞ্চাইজি হওয়ার পূর্ব শর্ত ঠিক করেছে তারা।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তেমন কিছু জানায়নি বিসিবি। তবে জানা গেছে, এবারে বিপিএলে বাড়ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি। সূত্রমতে প্রতিটি দলকে দিতে হবে দুই কোটি টাকা, সাথে দিতে হবে ব্যাংক গ্যারান্টিও। টুর্নামেন্টের আগে ১০ কোটি টাকা ছয় মাসের জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে।
জানা গেছে, বিপিএল থেকে প্রাপ্য লভ্যাংশেও ভাগ দেয়া হবে দলগুলোকে। আইএমজির পরিকল্পনা অনুযায়ী, মিডিয়া, গ্রাউন্ডস ও টিকিট থেকে প্রফিটের ৩০ পার্সেন্ট শেয়ার করা হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।
এছাড়া বিপিএলের প্রাইজমানি নিয়েও আলোচনা হয়েছে সভায়। জানা গেছে, বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে দুই কোটি ৭৫ লাখ টাকা, রানার্স আপ দল পাবে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা।