শুরুতেই বড় সংগ্রহের সুর বেঁধে দেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ-ইবরাহিম জাদরানরা। ৩১ ওভারে ১ উইকেটেই তুলে ফেলেন ১৭৩ রান। মাঝে যদিও তাদের খানিকটা টেনে ধরেন সাইফ হাসান, তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
বোলারদের ব্যর্থতার মাঝে স্বস্তি এনে দেন সাইফ, পরপর তুলে নেন ৩ উইকেট। সেই ধাক্কায় দ্রুত আরো কয়েকটি উইকেট পড়লে চাপে পড়ে যায় আফগানরা। যদিও শেষ পর্যন্ত ঠিকই পেয়ে যায় ২৯৩ রানের বিশাল পুঁজি।
মঙ্গলবার আবুধাবিতে উইকেটের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ১৬ ওভারের শেষ পর্যন্ত। তিন অঙ্কের দোরগোড়ায় গিয়ে প্রথমবার উদযাপনের উপলক্ষ পায় টাইগাররা। দলকে ৯৯ রানে রেখে ফেরেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ।
৪৪ বলে ৪২ রান করা গুরবাজকে ফেরান তানভীর ইসলাম। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সেদিকুল্লাহ আতালকে নিয়ে ৯৩ বলে আরো ৭৪ রান যোগ করেন ইবরাহিম। ৩১.৩ ওভারে এই জুটি ভাঙেন সাইফ।
পার্ট টাইম এই স্পিনারকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আতাল ফেরেন ৪৭ বলে ২৯ রান করে। সেই ওভারে কোনো রান দেননি সাইফ। পরের ওভারে এসে হাশমতুল্লাহ শাহিদিকেও (২) ফেরান তিনি।
৩৬.৫ ওভারে দলীয় ১৮৬ রানে সেঞ্চুরির পথে থাকা ইবরাহিমকে হারায় আফগানরা। রান আউট হয়ে তার ইনিংস শেষ হয় ১১১ বলে ৯৫ রানে। আগের ম্যাচেও ১৪০ বলে সমান ৯৫ রান নিয়ে আউট হয়েছিলেন তিনি।
ইকরাম আলিখিলকে পরের ওভারে ফাঁদে ফেলেন সাইফ। ১৩ বলে মাত্র ২ রান করেন তিনি। ৩৭.৪ ওভারে ১৮৮ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানরা। ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন হয় ৪১.৩ ওভারে।
তানভিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ২১ বলে ২০ রান করে বোল্ড হন তিনি। রশিদ খানকে (৮) থিতু হতে দেননি মেহেদী মিরাজ। তবে একপাশ আগলে ইনিংস ধরে রাখেন মোহাম্মদ নাবি।
৪৮তম ওভারে জোড়া আঘাত করেন হাসান মাহমুদ, ফেরান নানগেলিয়া খারোতে ও মোহাম্মদ গাজাফারকে। তবে পরের ওভারই মিরাজের থেকে ৩ ছক্কায় ২৫ রান আদায় করেন নাবি। শেষ ওভারে নেন আরো ১৯ রান।
৩৫ বলে ফিফটি তুলে অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৬২ রান নিয়ে। যেখানে শেষ ৩ ওভারেই তোলেন ৫৪ রান। তাতে ৯ উইকেটে ২৯৩ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুঁজি।