একটা সময়ে ছিলেন কলিজার টুকরো। কাউকে ছাড়া যেন চলে না কারো। দু'জনে একসাথে উড়াতেন বিজয় নিশান, অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্ত এনে দিয়েছেন দেশকে। তবে এখন সেসব শুধুই স্মৃতি, বন্ধুত্বের ফাঁটল এখন প্রকাশ্য দ্বৈরথ।
সময়ের পরিক্রমায় একে অন্যের মুখ দেখা দূরে থাক, কথা বলাও বন্ধ। আর ভারত বিশ্বকাপের আগে যা হয়, তাতে তীব্র হয় দ্বন্দ্ব। সাড়া পড়ে যায় দেশের ক্রিকেটে। বিশ্বকাপে পড়ে যার প্রভাব, তৈরি হয় বিভাজন।
তাদের ঝগড়া বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় রাখে বড় ভূমিকা, সাফল্যের পথে হয়ে দাঁড়ায় অন্তরায়। যদিও এতদিন কেউ এসব স্বীকার করেননি। তবে শনিবার প্রকাশিত এক ইন্টারভিউতে খালেদ মাহমুদ সুজন ফাঁস করেছেন সেই তথ্য।
বিশ্বকাপে দলের সাথে থাকা এই টিম ডিরেক্টর জানান, ‘দলের মধ্যে অনেক ক্রিকেটার আছে, কারো তামিমমের প্রতি ভালো লাগা, কারো আবার সাকিবের প্রতি। যখন সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো, তখন থেকেই মূলত জাতীয় দলে বিভাজন শুরু হয়েছে।’
‘তামিম যখন দল থেকে বাদ পড়ে গেলেন, তখন একই ড্রেসিংরুমে তামিমের ফ্যানরা অস্বস্তি নিয়ে সাকিবদের ফ্যানদের সাথে মিশতে হতো। এগুলোতো সহজ সমীকরণ। এগুলোর প্রভাবতো পড়েছেই!’
সাকিব-তামিমের এই দ্বন্দ্ব অনেক দিন ধরেই। যদিও প্রকাশ্যে ছিল না খুব বেশি। নাজমুল হাসান পাপন দায়িত্ব থাকা অবস্থাতে একবার সংবাদ মাধ্যমকে এ ব্যাপারে বলে দেন। তখন থেকেই তৈরী হয় সঙ্কট।
তবে দু’জনকে এক করতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন সুজন। বলেন, ‘তাদের দু’জনকে আমি অনুরোধ করেছি। বলেছি ভাই তোদের কারণে কিন্তু দলের মধ্যে অনেক সমস্যা হচ্ছে।’
আমি তাদের বলছিলাম, ‘তোরা ছোটবেলার বন্ধু, ঝগড়াঝাটি হতেই পারে, তোরা মিলে যা।’ কারণ ওরা এক না হলে বাংলাদেশ দল এক হবে না। কিন্তু একজন বলছে, ‘সম্ভব না। আরেক জন বলছে বসতে পারি।’
এরপর বিষয়টা আরো খোলাসা করেন সুজন। ‘মূলত সাকিব চায়নি মিটমাট করতে। সে আমাকে স্পষ্ট বলেছে, ‘না ভাই এইটা হবে না, আমাকে অনুরোধ কইরেন না। কেন হবে না, এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি না বা দিতে পারবো না।’ তবে তামিম খুব করে চেয়েছে, বেশ কয়েকবার চেষ্টাও করেছে।’