জয় ছাড়াই যদিও ঘরে ফিরছে ওমান, তবে এশিয়া কাপে রেখে গেল সক্ষমতার প্রমাণ। পাকিস্তানের পর ভারতের সাথে যেভাবে চোখে চোখ রেখে করেছে লড়াই, তা মোটাদাগেই তাদের অর্জন।
১৭ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেছে ওমান, ১ উইকেটে ১৪১ রান নিয়ে ধরে রাখে সম্ভাবনা। যদিও সমীকরণ ছিল কঠিন, তবে অসম্ভব ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠেনি তারা, হেরে যায় ২১ রানে।
এইদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ভারত। একদম একচেটিয়া ব্যাটিং উপহার দিতে পারেনি অবশ্য, ১৮৮ রান করতে হায়ায় ৮ উইকেট। জবাবে ৪ উইকেটে ১৬৭ রান করে ওমান।
সুবাদে গ্রুপ বি চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার মতো তিন ম্যাচের তিনটি জিতে অপরাজিত থেকেই শেষ চারে উঠল ভারত। প্রথম দুই ম্যাচে আরব আমিরাত ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা।
ভারত এদিন তাদের নিয়মিত একাদশে দুই পরিবর্তন আনে, আর্শদীপ সিং ও হর্ষিত রানা আসেন একাদশে। সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ব্যাটিং লাইনআপেও আসে পরিবর্তন। আগের দুই ম্যাচে ব্যাট না করাদের দেয়া হয় সুযোগ।
স্যাঞ্জু স্যামসন এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো ব্যাট হারে আসেন আজ। দ্বিতীয় ওভার থেকে ১৮ ওভার পর্যন্ত মাঠে ছিলেন তিনি। তবে বিধ্বংসী হতে পারেননি, খেলেন ৪৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস।
রান বাড়ানোর কাজটা করেন অভিষেক শর্মা (১৫ বলে ৩৮), অক্ষর প্যাটেল (১৩ বলে ২৬) ও তিলক ভার্মা (১৮ বলে ২৯)। তবে ৮ উইকেটের পতন হলেও ব্যাটিংয়ে আসেননি অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব।
আর ব্যাট হাতে নেমেও রান পাননি শুভমান গিল, হার্দিক পান্ডিয়া। তবুও এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ ১৮৮ রানে পৌঁছায় ভারত। ফয়সাল শাহ, জীতেন রামনন্দি ও আমির কালীম নেন দুটো করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই লড়াইয়ের আভাস দেয় ওমান। ৮.৩ ওভারে ভাঙে যতীন্দর ও কালীমের মধ্যকার ৫৬ রানের জুটি। যতীন্দর ফেরেন ৩৩ বলে ৩২ করে। তবে কালীম থামেননি।
হাম্মাদ মির্জাকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৯৩ রানের জুটি গড়েন দু'জনে। দু'জনেই পান ফিফটি। দলীয় ১৭.৪ ওভারে ১৪৯ রানে ফেরে কালীম, আউট হবার আগে করেন ৪৬ বলে ৬৪ রান।
হাম্মাদ আউট হন ১৮.৫ ওভারে ৩৩ বলে ৫১ রান করে। শেষ দিকে ৫ বলে ১২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন রামনন্দি। তবে তাদের এই প্রচেষ্টা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ভারত খুব চেষ্টা করেও ৪ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি।