আবারো তীরে কাছে এসে তরী ডুবল। খুব কাছে গিয়েও হতাশায় পুড়তে হলো। অবিশ্বাস্যভাবে হেরে গেছে বাংলাদেশ। হাতে ৬ উইকেট রেখেও পারেনি শেষ ১২ বলে ১২ রানের সমীকরণ মেলাতে। এভাবেও হারা যায়!
৪৯ ওভার থেকে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩ রান আসায় শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। তবে প্রথম ৪ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ, হেরে যায় ৭ রানে। শেষ হয় সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন।
আগের ম্যাচগুলোতে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে আজ আর ভুল করলেন না, চেষ্টা করলেন সবটা দিয়েই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃথা গেল তার ৯৮ বলে ৭৭ রানের ইনিংস।
অন্যদিকে রান করেও পেয়েছেন শারমিন আক্তারও। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটাকে যদিও টেনে তুলেছেন তিনি, খেলেন ১০৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস। তবে তারা দু'জন ছাড়া কেবল স্বর্ণা আক্তারই (১৭) পৌঁছেছেন দুই অঙ্কে।
ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার ৪৮.৪ ওভারে করা ২০২ রানের লক্ষ্য টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। পুরো ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করে ১৯৫ রান। টানা ৫ হারে তাই ছিটকে গেছে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে।
এর আগে, টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৪৮.৪ ওভারে ২০২ রানে গুটিয়ে গেছে লঙ্কানরা। বাংলাদেশকে লক্ষ্য দেয় ২০৩ রানের।
ফিল্ডিং করতে নেনে ১ম বলেই ভিস্মি গুনারত্নেকে বোকা বানান মারুফা আক্তার। কোনো রান যোগ হবার আগেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর ১২.৩ ওভারে ৭২ রান যোগ করেন চামারি আতাপাত্তু ও হাসিনি পেরারা।
চামারি ৪৩ বলে ৪৬ করে আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর দ্রুত আরো কয়েক উইকেটের পতন হয়। ১০০ রানে ৪ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। সেখান থেকে হাসিনিকে সঙ্গ দিয়ে ৩১.৪ ওভারে ১৭৪ রানে পৌঁছে দেন নিলাক্ষি ডি সিলভা।
দু’জনের এই জুটি ভাঙে নিলাক্ষি ৩৮ বলে ৩৫ রানে আউট হলে। এরপর আর কেউ পারেননি হাসিনিকে সঙ্গ দিতে। ৪ উইকেটে ১৭৪ থেকে ২০২ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। পরের ২৮ রান তুলতেই হারায় ৬ উইকেট।
বল হাতে স্বর্ণা আক্তার ২৭ রানে ৩ ও রাবেয়া খান ৩৯ রানে নেন ২ উইকেট।
 


