জমে উঠেছে ওভাল টেস্ট। কেউ ছেড়ে কথা বলছে না কাউকে। দ্বিতীয় দিন শেষে কেউ নেই চালকের আসনে। দাপট দেখাচ্ছেন পেসাররা, দ্বিতীয় দিনে ১৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন তারা।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ২২৪ রানে অলআউট হয় ভারত। বিপরীতে লিড পেলেও বড় সংগ্রহ করার আগেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা, স্কোরবোর্ডে আসে ২৪৭ রান। লিড নেয় ২৩ রানে।
এরপর দিনের শেষ দিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত। ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে সফরকারীরা, লিড দাঁড়ায় ৫২ রান। ফিফটি তুলে নিয়েছেন যশস্বী জয়সাওয়াল।
৬ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। তবে মাত্র ২০ রান যোগ করতেই গুটিয়ে যায় তারা। অ্যাটকিনসন-টাংয়ের সামনে টিকতে পারেননি গিল-রাহুলরা।
আগের দিন ফিফটি তুলে নেয়া করুন নায়ার আউট হোন ১০৯ বলে ৫৭ করে। ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাটে আসে ২৬ রান। অ্যাটকিনসন ৫ ও ৩টি উইকেট শিকার করেন জশ টাং।
এদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভালো শুরু পায় ইংল্যান্ড, ১২.৫ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৯২ রান। এরপরই স্বাগতিকদের চেপে ধরেন প্রসিধ কৃষ্ণ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
বেন ডাকেটকে ৩৮ বলে ৪৩ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আকাশ দ্বীপ। ১২৯ রানের মাথায় জ্যাক ক্রাউলিকে ফেরান প্রসিধ কৃষ্ণ। তার ব্যাটে আসে ১৪ চারে ৫৭ বলে ৬৪ রান।
বাকি সময়টা সিরাজের। তিনি একে একে ফেরান দু'সেট ব্যাটসম্যান ওলে পোপ (২২), জো রুট (২৯) ও জ্যাকব বেথেলকে (৬)। এরপরের তিনটি উইকেট নেন প্রসিধ কৃষ্ণ।
জেমি স্মিথকে (৮) সাজঘরে ফেরান রাহুলের ক্যাচ বানিয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই জেমি ওভারটনকে ফেলেন এলবিডব্লুর ফাঁদ। আর ১৬ বলে ১১ রান করা অ্যাটকিনসনকেও থামান তিনি।
একপাশ আগলে ইংলিশদের ইনিংস টানছিলেন হ্যারি ব্রুক, ফিফটিও তুলে নেন তিনি। তবে এরপর তাকেও শিকার বানান সিরাজ। আটকে দেন ৬৪ বলে ৫৩ করতেই। শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণ উভয়েই নেন ৪টি করে উইকেট। তবে ততক্ষণে ২৩ রানের লিড পেয়ে যায় স্বাগতিকেরা।
সেই লিড ভেঙে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। যশস্বী জয়সাওয়াল একদিক থেকে দারুণ ব্যাট করলেও অন্যপ্রান্ত থেকে ভালো করতে পারেননি কেউ।
লোকেশ রাহুল ছিলেন ব্যর্থ, ফেরেন ২৮ বলে ৭ রানে। আর ২৯ বলে ১১ রান করেন সাই সুদর্শন। দু’জনের উইকেট ভাগাভাগি করে নেন অ্যাটকিনসন ও টাং। তবে যশস্বী অপরাজিত আছেন ৪৯ বলে ৫১ করে।