পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সাথে হাত না মিলিয়ে যতটা না বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন, হাত মিলিয়ে আরো বেশি বিতর্ক উস্কে দিলেন সূর্য কুমার যাদব। প্রকাশ্যে চোখে চোখ না রাখলেও ক্যামেরার আড়ালে ঠিকই হাত মেলান ভারতীয় অধিনায়ক।
এশিয়া কাপে তিনবার মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। মাঠের খেলায় উত্তাপ না ছড়ালেও এর বাইরে নানাকাণ্ডে বিতর্ক ছড়ায় বেশ। তিন ম্যাচেই টস ও ম্যাচের পর পাকিস্তানিদের সাথে করমর্দন করেনি ভারত দল।
এমনকি সর্বশেষ এশিয়া কাপ ফাইনালের পর পিসিবি ও এসিসি চেয়ারম্যান মাহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানান ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে তৈরি হয় চরম নাটকীয়তা। বয়কট করে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
শেষ পর্যন্ত ভারতের ক্রিকেটাররা কল্পিত ট্রফি কল্পনা করে বিজয় উদযাপন করেন। মূলত রাজনৈতিক কারণেই ইতিহাসের এমন কালো অধ্যায় রচনা করে ভারত দল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের স্বীকার হন ভারত অধিনায়ক।
তবে এবার নিজ দেশেও সমালোচনার মুখে সূর্য কুমার যাদব। তবে হাত না মিলিয়ে নয়, বরং মহসিন নাকভির সাথে হাত মিলিয়েই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন ভারত অধিনায়ক। তার বিরুদ্ধে উঠছে দ্বিচারিতার অভিযোগ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এশিয়া কাপ শুরুর আগে পাকিস্তানের মন্ত্রী ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান নাকভির সাথে তিনি করমর্দন ও ছবি তুলছেন।
অন্যদিকে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগাও দাবি করেছেন, মাঠের বাইরে অন্তত দু’বার তিনি সূর্য কুমারের সাথে করমর্দন করেছেন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতেই তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে হাত মিলিয়েছিলেন। কিন্তু ক্যামেরার সামনে তারা আমাদের সাথে হাত মেলায়নি। আমি নিশ্চিত তিনি কারো নির্দেশনা মেনে চলছেন, তবে নিজের ইচ্ছায় থাকলে অবশ্যই হাত মেলাতেন।’
একবার নয়, দু’বার ভারত অধিনায়ক তার সাথে হাত মিলিয়েছিলেন জানিয়ে সালমান বলেন, ‘প্রতিযোগিতার শুরুতে একবার সে আমার সাথে একান্তে করমর্দন করেছিল।’ দ্বিতীয় ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘পরে ম্যাচ রেফারির বৈঠকের সময় আমাদের দেখা হয়েছিল। তখনো হাত মিলিয়েছিল।’
এদিকে এসব নিয়ে ভারতীয় কট্টরপন্থী রাজনৈতিকদল ও তাদের সমর্থকেরা সূর্য কুমারকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন। শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা ও সংসদ সদস্য সঞ্জয় রাউত ভারতের অধিনায়ক সূর্য কুমারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘তার আচরণে দ্বিচারিতা স্পষ্ট।’
রাউতের অভিযোগ, ‘১৫ দিন আগে তিনি পাকিস্তানের মন্ত্রীর (মহসিন নাকভি) সাথে হাত মিলিয়েছেন, ছবি তুলেছেন। এখন দেশবাসীর সামনে দেশপ্রেমের নাটক দেখানো হচ্ছে। যদি সত্যিই দেশপ্রেম থাকত, তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামাই উচিত ছিল না।’