অনেক আশা-প্রত্যাশা আর জৌলুস নিয়ে একযুগ আগে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ২০১২ সালে শুরু হওয়া দেশের একমাত্র ফ্রাঞ্চাইজি লিগটি অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী। অনেক বিতর্ক সাথে নিয়েই মাঠে গড়িয়েছে ১১টি আসর।
এই সময়ে কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, সেই প্রশ্ন একপাশে রেখে নতুনভাবে শুরু হচ্ছে বিপিএলের আরেকটি আসর। বিপিএল দাঁড়িয়ে ১২তম আসর শুরুর দোরগোড়ায়। ২৬ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে খেলা।
তার আগে আজ রোববার অনুষ্ঠিত হবে নিলাম। ২০১৩ সালের পর আবারো বিপিএলে ফিরছে ‘হাতুড়ির বাড়ি’। মাঝের ৯ আসরে ক্রিকেটার বাছাই করা হয় প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাঝে। তবে এবার আবার ফিরছে পুরনো রূপে।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আজ বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে নিলাম। যেখানে দেশী-বিদেশী মিলিয়ে নির্ধারণ হবে চার শতাধিক ক্রিকেটারের ভাগ্য। নির্ধারণ হবে তাদের ঠিকানা।
এবার ছয়টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে ১৫৮ জন দেশী ও পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে ২৬৭ জন বিদেশী ক্রিকেটার। যেখান থেকে অন্তত ১২ জন দেশী ও ২ জন বিদেশী ক্রিকেটারকে দলে বেড়াবে ফ্রাঞ্চাইজিরা।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দল গঠনে মোট ১০ কোটি টাকা খরচের অনুমতি দেয়া হয়েছে। যেখানে বিদেশী খেলোয়াড়দের জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও দেশী খেলোয়াড়দের জন্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে তারা।
নিলামের জন্য সবচেয়ে বেশি বিদেশী ক্রিকেটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন ইংল্যান্ড থেকে। যাদের বেশিভাগই কাউন্টি কিংবা অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলা। এছাড়া পাকিস্তান থেকে ৪১ ও শ্রীলঙ্কা থেকে আছেন ৩৫ জন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ৩০, আফগানিস্তান থেকে ১৫, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০, জিম্বাবুয়ে থেকে ৭, নেপাল থেকে ৫, ভারত থেকে ৩, নেদারল্যান্ডস থেকে ৩, আরব আমিরাত থেকে ২ জন করে ক্রিকেটার নিশ্চিত আছেন।
এছাড়া নামিবিয়া, কানাডা ও সুইডেন থেকে একজন করে ক্রিকেটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
বিদেশী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৩৫ হাজার ডলার। এরপর যথাক্রমে ‘ই’ পর্যন্ত ভিত্তিমূল্য ২৫ হাজার, ২০ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ হাজার ডলার। অন্তত ৪ জন বিদেশী থাকতে হবে প্রতিটি স্কোয়াডে।
দেশী ক্রিকেটারদের ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া ‘বি’ ৩৫ লাখ, ‘সি’ ২২ লাখ, ‘ডি’ ১৮ লাখ, ‘ই’ ১৪ লাখ ও ‘এফ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১১ লাখ টাকা।
দলগুলোকে ‘এ’ ও ‘বি’ মিলিয়ে অন্তত ২ জন, ‘সি’ ও ‘ডি’ মিলিয়ে অন্তত ৬ জন এবং ‘ই’ ও ‘এফ’ মিলিয়ে অন্তত ৪ জন ক্রিকেটার দলে নিতে হবে। প্রতি দলে অন্তত ১৪ জন ও সর্বোচ্চ ১৬ জন দেশী ক্রিকেটার রাখা যাবে।
অবশ্য নিলামের আগে প্রতিটি দলের সামনে ছিল সর্বোচ্চ দুজন করে দেশী ও বিদেশী ক্রিকেটার দলে নেয়ার সুযোগ। চট্টগ্রাম রয়্যালস শুধু একজন বিদেশী নিয়েছে। বাকি সবাই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে।
তবে সরাসরি চুক্তিতে দল পাননি লিটন দাস। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের এই অধিনায়ক কারো সাথে চুক্তিতে যাননি। ফলে নিলামে তাকে ঘিরেই থাকবে সব আলো। কাড়াকাড়ি হতে পারে তানজিম সাকিবকে নিয়েও।
এছাড়া অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তরুণ পারভেজ ইমনকে নিয়েও দেখা যেতে পারে বাড়তি আগ্রহ। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সে আলো ছড়ানো হাবিবুর রহমান, রিপন মন্ডলরাও থাকবেন আলোচনায়।
সরাসরি চুক্তির তালিকা
রংপুর রাইডার্স: নুরুল হাসান সোহান, মোস্তাফিজুর রহমান, খাজা নাফি, সুফিয়ান মুকিম।
ঢাকা ক্যাপিটালস: তাসকিন আহমেদ, সাইফ হাসান, উসমান খান, অ্যালেক্স হেলস।
সিলেট টাইটান্স: নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ আমির।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স: নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, সাহিবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ নওয়াজ
চট্টগ্রাম রয়্যালস: শেখ মেহেদি হাসান, তানভির ইসলাম, আবরার আহমেদ।
নোয়াখালী এক্সপ্রেস: হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস।



