আইসিসির সেরা একাদশে নেই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার

সেরা একাদশে ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছে উলভার্ট ও ভারতের স্মৃতি মান্ধানাকে। ১৩তম বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন উলভার্ট।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল |সংগৃহীত

সদ্য শেষ হওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

আইসিসির ঘোষিত সেরা একাদশের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকার দলনেতা লরা উলভার্টকে। একাদশে জায়গা পাননি শিরোপাজয়ী ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর। এছাড়া একাদশে সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারেরও। আট দলের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে ১টি করে জয় ও ৫ হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে থেকে আসর শেষ করে বাংলাদেশ।

চ্যাম্পিয়ন ভারত, রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়া অস্ট্রেলিয়া দল থেকে তিনজন করে ক্রিকেটার সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন। পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড থেকে একজন করে ক্রিকেটারের জায়গা হয়েছে সেরা একাদশে।

সেরা একাদশে ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছে উলভার্ট ও ভারতের স্মৃতি মান্ধানাকে। ১৩তম বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন উলভার্ট।

৯ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ৫৭১ রান করেন উলভার্ট। তার ব্যাটিং গড়- ৭১.৩৭ এবং স্ট্রাইক রেট ৯৮.৭৮। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েন উলভার্ট। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬৯ এবং ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

পুরুষ ও নারী মিলিয়ে বিশ্বকাপের এক আসরে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটার উলভার্ট। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সেঞ্চুরির প্রথম রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসা হিলি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন মান্ধানা। ৯ ইনিংসে ১টি শতক ও ২টি অর্ধশতকে ৫৪.২৫ গড়ে ৪৩৪ রান করেন তিনি।

তিন নম্বরে রাখা হয়েছে ভারতের জেমিমা রদ্রিগেজকে। ৭ ইনিংসে ১টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৯২ রান করেন তিনি। সেমিফাইনালে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন জেমিমা। তার ইনিংসের ওপর ভর করে ৩৩৯ রানের টার্গেট তাড়া করে রেকর্ড জয়ের স্বাদ পায় ভারত।

ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে রাখা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মারিজান কাপকে। ব্যাট হাতে ২০৮ রানের পাশাপাশি ১২ উইকেট শিকার করেন তিনি।

২টি সেঞ্চুরি ও এক হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩২৮ রান ও ৭ উইকেট নিয়ে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে গার্ডনার। বিশ্বকাপ চলাকালীন আইসিসি অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষে ওঠেন তিনি।

ব্যাটিং অর্ডারে ছয় নম্বরে রাখা হয়েছে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া ভারতের দিপ্তি শর্মা। ৭ ইনিংসে ৩ ফিফটিতে ২১৫ রান এবং আসরের সর্বোচ্চ ২২টি উইকেট নিয়েছেন এই অফ-স্পিনার। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ৫৮ রান ও ৫ উইকেট নেন তিনি।

পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। ৭ ইনিংসে ১৭ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ১১৭ রান করেছেন তিনি।

সাদারল্যান্ডের সাথে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নাডিন ডি ক্লার্ক। ২০৮ রানের পাশাপাশি ৯ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

একাদশে চমক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক সিদ্রা নাওয়াজ। ৫ ইনিংসে মাত্র ৬২ রান করলেও উইকেটরক্ষক হিসেবে ৪টি করে ক্যাচ ও স্টাম্প আউট করেছেন তিনি। এবারের আসরে অষ্টম ও শেষ দল হিসেবে বিশ্বকাপ শেষ করে পাকিস্তান।

স্পিনার হিসেবে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালানা কিং ও ইংল্যান্ডের সোপি এক্লেস্টোন। ৭ ম্যাচে কিং ১৭.৩৮ গড়ে ১৩ এবং একলেস্টন ১৪.২৫ গড়ে ১৬ উইকেট শিকার করেন।

দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে আছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ন্যাট সিভার-ব্রান্ট। ব্যাট হাতে ২৬২ রান ও ৯ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ : লরা উলভার্ট (অধিনায়ক, দক্ষিণ আফ্রিকা), স্মৃতি মান্ধানা (ভারত), জেমিমা রদ্রিগেজ (ভারত), মারিজান কাপ (দক্ষিণ আফ্রিকা), অ্যাশলে গার্ডনার (অস্ট্রেলিয়া), দিপ্তি শর্মা (ভারত), অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া), নেডিন ডি ক্লার্ক (দক্ষিণ আফ্রিকা), সিদ্রা নাওয়াজ (উইকেটরক্ষক, পাকিস্তান), অ্যালান কিং (অস্ট্রেলিয়া), সোফি এক্লেস্টোন (ইংল্যান্ড)।

দ্বাদশ খেলোয়াড় : ন্যাট সিভার-ব্রান্ট (ইংল্যান্ড)।