বিদেশের মাটিতে সব ধরনের টি-২০ লিগে এ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের দেয়া নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) বাতিল করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এক বিবৃতিতে পিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইর আহমেদ সাইদ খেলোয়াড়দের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। বিবৃবিতে বলা হয়েছে, ‘পিসিবি চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে লিগ এবং দেশের বাইরের অন্যান্য টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের জন্য সমস্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।’
এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
গত রোববার দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে পরাজয়ের মাত্র একদিনের মধ্যে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের মুখে পড়লো। এই স্থগিতাদেশ কতদিন বহাল থাকবে সে বিষয়টিও স্পষ্ট করেনি পিসিবি।
এই সিদ্ধান্তের কারণে বিদেশী লিগে নিয়মিত খেলা পাকিস্তানি বেশ কিছু খেলোয়াড় বিপাকে পড়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। এই তিনজনসহ মোট সাত পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ডিসেম্বরে বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) খেলার কথা ছিল।
এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএলটি-টোয়েন্টির নিলামের জন্যও সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ১৮ জন পাকিস্তানি খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে আছেন নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানের মতো তারকারা।
বিবিএলে পাকিস্তানি সুপারস্টার ব্যাটার বাবর আজম সিডনি সিক্সার্স, শাহিন শাহ আফ্রিদি ব্রিসবেন হিট, মোহাম্মদ রিজওয়ান মেলবোর্ন রেনেগেডস, হারিস রউফ মেলবোর্ন স্টার্স, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অল-রাউন্ডার হাসান খান মেলবোর্ন রেনেগেডস, লেগ স্পিনার শাদাব খান সিডনি থান্ডার ও ডান হাতি পেসার হাসান আলি এডিলেড স্ট্রাইকার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।